১৯৯৭ সালে হেফাজতে অভিযুক্তের ওপর চরম অত্যাচারের এক মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে আজ খালাস করেছে কোর্ট। ২৭ বছরের পুরনো এই মামলায় প্রমাণের অভাবে এই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারকে খালাস করা হয়েছে।
শুধু যে, হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকেই অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তা নয়। এছাড়াও, জামনগরে ১৯৯০ সালে হেফাজতে এক বন্দির মৃত্যুর জেরে সঞ্জীব ভাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ১৯৯৬ সালে পালানপুরে রাজস্থানের এখ আইনজীবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার জেরে তাঁর ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, গুজরাটের এই প্রাক্তন অফিসারকে ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কিছু পর্ব। ১৯৯০ সালের হেফাজতে বন্দি মৃত্যু ঘটনায় ভাট ও তাঁর সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তুলে নিতে কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল গুজরাট সরকার। তবে পরে, ভাটের হলফনামায় তিনি মোদীর বিরোধিতা করার পর গুজরাট সরকার সেই আবেদন তুলে নেয়। তারপরই কোর্ট এই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পথে এগোয়।
এদিকে, ১৯৯৭ সালে হেফাজতে বন্দির ওপর অত্যাচারের ঘটনায় আবেদনকারীর পক্ষ কিছু যৌক্তিক সন্দেহের বাইরে কিছু প্রমাণ করতে পারেনি বলে মনে করছে কোর্ট। এই মামলায় সঞ্জীব ভাট ছাড়াও বাজুভাই ছাউয়ের বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ। মামলায় অভিযোগ কারী নারান যাদব ভয়াবহ দাবি করেছে। নারান যাদবের অভিযোগে বলা হচ্ছে, তাকে হেফাজতে থাকা অবস্থায় অস্ত্র ও টাডা আইনের আওতায় নিজেকে জঙ্গি বলে দাবি করতে বাধ্য করা হচ্ছিল। আর সেই জন্যই নারানকে হেফাজতে অত্যাচার করা হয়েছে বলে সে দাবি করে। অভিযোগ তোলে সঞ্জীব ভাটদের বিরুদ্ধে। নারানের দাবি ১৯৯৭ সালের জুলাইতে ট্রান্সফার ওয়ারেন্ট নিয়ে এসে তাকে আমেদাবাদের সবরমতি জেল থেকে তুলে নিয়ে ভাট নিজের বাড়িতে নেন। সেখানে নারানকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তার গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। নারানের ছেলেকেও ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। হেফাজতে থাকা বন্দিকে এমন অত্যাচারেরই অভিযোগ ওঠে সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই সঞ্জীব ভাটকে প্রমাণের অভাবে খালাস করেছে কোর্ট।