তৃণমূলে যোগ দিয়েই বলেছিলেন, ‘মমতাকে দিল্লিতে দেখতে চাই।’ সেই আশা পূরণ হওয়ার আগেই অবশ্য দল ছাড়লেন জনতা দল (ইউনাইটেড)–এর প্রাক্তন নেতা পবন ভার্মা। ভারতের কূটনীতিবিদ হিসেবে কাজ করা পবন একসময় নীতীশের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে নীতীশ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পর থেকে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন পবন। সেই সময় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পবন ভার্মাকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল জেডিইউ। সেটা ২০১৯ সাল। এরপর ২০২১ সালে মমতার দলে যোগ দিয়েছিলেন পবন। সেই যোগদানের একবছর হতে না হতেই এবার দল ছাড়লেন পবন ভার্মা।
আজকে এই টুইট করে তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেন পবন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে লেখেন, ‘সম্মানীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুগ্রহ করে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে আমার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করুন। আমাকে যে উষ্ণতার সঙ্গে আপনি স্বাগত জানিয়েছিলেন, এবং আপনার স্নেহ ও সৌজন্যের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য মুখিয়ে রইলাম। আপনাকে শুভকামনা জানাই, এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’
এদিকে নীতীশ বিরোধী শিবিরে ফিরতেই পবন নিজের পুরোনো দলে ফিরবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমেই নিজেদের সর্বভারতীয় মুখ হারাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ‘হারায়’ তৃণমূল। গোয়ার তৃণমূল নেতাদের আর এখন সেভাবে দেখা যায় না। উত্তরপূর্বের যেসকল নেতা তৃণমূলে যোগ দেন তাঁদের তাও দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। তবে হিন্দি বলয়তে পা রাখার জন্য তৃণমূলের যে ভিত প্রয়োজন ছিল, তা ক্রমেই নড়বড়ে হচ্ছে। এই আবহে মমতাকে ধাক্কা দিয়ে পবন ভার্মাও তৃণমূল ছাড়লেন।