কোভিড মোকাবিলায় তাঁর পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বের সর্বত্র। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েও তা গ্রহণ করেননি দলীয় নীতির কারণে। এহেন কেকে শৈলজার বিরুদ্ধেই এবার উঠল পিপিই কিট সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই মামলায় তলব করেছে কেরলের লোকায়ুক্ত। অভিযোগ, কোভিড যখন প্রাথমিক পর্যায়ে, সেই সময় পিপিই কিট এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের লোকায়ুক্ত।
সিপিআইএম নেতাকে আগামী ৮ ডিসেম্বর তলব করেছে দুর্নীতি দমন সংস্থা। কংগ্রেস নেতা বীনা এস নায়ারের একটি অভিযোগ দায়ের করার পরেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, ২০২০ সালে কোভিডের শুরুর সময়ে এক একটি পিপিই কিট কিনতে কেরল সরকার খরচ করেছিল ১৫৫০ টাকা করে। সেই সময় খোলা বাজারে পিপিই কিটের দাম এর থেকে কম ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে কুয়েতে এক অনুষ্ঠানে শৈলজা নিজেও বলেন যে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৫০০ টাকা দিয়ে পিপিই কিট কেনে সরকার। এর কিছুদিন আগেই খোলা বাজারে সেই কিটগুলির দাম ছিল মাত্র ৫০০ টাকা।
এই নিয়ে কেরলের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা মেনে নেন যে মহামারীর প্রাথমিক দিনগুলিতে পিপিই কিটগুলি কিনতে বেশি টাকা খরচ করেছিল কেরল সরকার। তাঁর যুক্তি, বাজারে পিপিই কিটের অভাব থাকায় বেশি দাম দিয়ে তা কিনতে হয়েছিল সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অনুমতি নিয়েই এই কাজ করা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবনকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা পিপিই কিটের গুণগত মান নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বেশি দামে পিপিই কিট কেনার অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, পিপিই কিট ছাড়াও গ্লাভস, থার্মোমিটার এবং অক্সিজেন মিটার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়। পিপিই কিট নিয়ে নিজের যুক্তি দিলেও বাকি চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খোলেননি শৈলজা।