বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Ex MLA on Brahmins: 'ব্রাহ্মণরা ভারতীয় নন, রুশ', বিতর্কিত মন্তব্য শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়কের

Ex MLA on Brahmins: 'ব্রাহ্মণরা ভারতীয় নন, রুশ', বিতর্কিত মন্তব্য শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়কের

আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের জাতীয় সম্পাদক যদুবংশ কুমার যাদব

প্রাক্তন বিধায়কের বক্তব্য, 'এই ব্রাহ্মণরা আমাদের সবার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার কাজ করে, এখন আমাদের তাদের এখান থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে। এরা সবাই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয়। তাঁরা সেখান থেকে এসেছেন। তাঁদের সেখান থেকে নির্বাসিত করা হয়। ডিএনএ টেস্টেও জানা গিয়েছে কোনও ব্রাহ্মণ এদেশের নয়।'

ভারতে বসবাসকারী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা নাকি ভারতীয় নন, এমনই মন্তব্য করে বিহারের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের জাতীয় সম্পাদক যদুবংশ কুমার যাদব। তাঁর কথায়, ভারতে বসবাসকারী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা মূলত ভারতের নয়, এই লোকেরা রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশ থেকে এসে ভারতে বসতি স্থাপন করেছেন। ডিএনএ পরীক্ষায় এ তথ্য জানা গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, 'এই সবা ব্রাহ্মণরা এসেছেন রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে। তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা সবাই ভারতে চলে আসেন।'

এদিকে বিহারের শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়কের এই বক্তব্যের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছে বিরোধী দল বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা নীরজ বাবলু বলেছেন, 'ব্রাহ্মণরা ভারতের বাসিন্দা। দেশবাসীকে মূল্যবোধ শেখান তাঁরা। আর আরজেডি নেতারা তাঁদের তাড়ানোর কথা বলছেন। এমন কথা যাঁরা বলেন, সেরকম লোকদেরই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।'

এর আগে যদুবংশ যাদব বলেছিলেন যে ব্রাহ্মণরা সমাজকে বিভক্ত করছেন এবং দেশবাসীকে নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, 'এই ব্রাহ্মণরা আমাদের সবার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার কাজ করে, এখন আমাদের তাদের এখান থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে। এরা সবাই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয়। তাঁরা সেখান থেকে এসেছেন। তাঁদের সেখান থেকে নির্বাসিত করা হয়। ডিএনএ টেস্টেও জানা গিয়েছে কোনও ব্রাহ্মণ এদেশের নয়।'

এদিকে আরজেডি নেতার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে মহাজোট সরকারে থাকা জেডিইউও। জেডিইউ মুখপাত্র অভিষেক কুমার বলেছেন, 'মিডিয়ায় থাকার জন্যই এমন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আরজেডির উচিত এই ধরনের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এ ধরনের বক্তব্য মহাজোটের ঐক্যেরও ক্ষতি করছে।'

এর আগে রামচরিত মানস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রেশখরের বক্তব্য নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছিল বিহারে। নালন্দা ওপেন ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন যে মনুস্মৃতিতে সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে গালাগালি দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, রামচরিতমানসের উত্তর কাণ্ডে লেখা আছে, নিম্নবর্ণের মানুষ শিক্ষা পেয়ে সাপের মতো বিষাক্ত হয়। এগুলো এমন বই যা ঘৃণার বীজ বপন করে। তিনি বলেন, 'এক যুগে মনুস্মৃতি, অন্য যুগে রামচরিতমানস, তৃতীয় যুগে গুরু গোলওয়ালকরের বাঞ্চ অফ থট। এসবই দেশ ও সমাজকে বিদ্বেষে বিভক্ত করে। ঘৃণা কখনও দেশকে মহান করতে পারে না, শুধু ভালোবাসাই একটি দেশকে মহান করে তোলে।' এরপরই শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর দাবি তুলেছিল বিজেপি।

বন্ধ করুন