এনএসইর প্রাক্তন এমডি চিত্রা রামাকৃষ্ণার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের কোনও গোপন তথ্য পাচার করে দিয়েছিলেন কোনও এক ব্যক্তির কাছে। কার কাছে সেই তথ্য গিয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। তবে প্রাক্তন এনএসই এমডি চিত্রা রামাকৃষ্ণার বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। আর সেই তদন্তের মাঝেই আজ চিত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক বাড়ি ও এলাকা তল্লাশি শুরু করে আয়কর বিভাগ।
উল্লেখ্য, আয়কর বিভাগ শুধু যে চিত্রা রামাকৃষ্ণার সঙ্গে সম্পর্কিত ভবনগুলিতেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তা নয়। তার সঙ্গে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে চিত্রার সময়কালে চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বাড়িতেও চলেছে তল্লাশি অভিযান। এদিকে বুধবারই একটি প্রতিশ্রুতির সুরে বিবৃতি জারি করেছে এনএসই। তারা জানিয়েছে সঠিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার পথে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। SEBI কে যাবতীয় সাহায্য করতেও তারা প্রস্তুত। উল্লেখ্য, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া তথা SEBI ইতিমধ্যেই এনএসইর কার্যপ্রণালীতে বড়সড় ফাঁক ফোকড়ের সন্ধান পেয়েছে। রাতারাতি এনএসইর বিভিন্ন বিভাগে বদল এনেছে সেবি। উল্লেখ্য, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবির নজরদারিতে যেমন এনএসইর কার্যপ্রণালী রয়েছে তেমনই তারা নজর রাখছে মার্কেন ইনফাস্ট্রাকচার ইনস্টিটিউশন-এর কার্যপ্রণালীতেও। উল্লেখ্য, এনএসইতে চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের নিযুক্তি ঘিরে বেশ কিছু অবৈধ প্রণালীর হদিশ পেয়েছে সেবি।
এদিকে আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের নিয়োগ ঘিরে কাঠগড়ায় এসেছে তৎকালীন এমডি চিত্রার নাম। সেই অভিযোগের জেরে ইতিমধ্যেই চিত্রাকে ৩ কোটি টাকার জরিমানা দিতে বলা হয়েছে সেবির তরফে। এদিকে, গোটা ঘটনায় বিশাল অঙ্কের টাকার বেআইনি গতিবিধির মাঝে, চিত্রা রামাকৃষ্ণা জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন তা কোনও এক ‘যোগী’র কথায় করেছেন, যিনি হিমালয়ে রয়েছেন। সূত্রের দাবি, সম্ভবত এই 'যোগী'কেই যাবতীয় তথ্য পাচার করেছেন চিত্রা রামাকৃষ্ণা। এই আধ্যাত্মিক যোগীকে এনএসইর বিজনেস প্ল্যান থেকে বোর্ড অ্যাজেন্ডা পাচার করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই যোগীর কথায় গত ২০ বছর ধরে ‘গাইডেন্স’ পেয়েছেন চিত্রা। আর সেই কারণেই আধ্যাত্মের চর্চার মাঝে এই সমস্ত তথ্য তিনি ওই জনৈক হিমালয়বাসী যোগীকে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।