দীর্ঘদিন ধরে লড়ছেন অসুস্থতার সঙ্গে। তারই মাঝে শোনা গিয়েছিল, শুক্রবার শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট পরভেজ মুশারফের। দুবাইতে তাঁর চিকিৎসা চলছে বহুদিন। তবে তিনি ভেন্টিলেটরে নেই বলে জানিয়েছে পরিবার। পাশাপাশি তাঁর মৃত্যু ঘিরে গুঞ্জনও যে ভুয়ো, তা জানান দিয়েছে পরভেজ মুশারফের পরিবার। এদিন আচমকাই প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রনেতার মৃত্যু হয়েছে, এমন ভুয়ো খবর ঘিরে কিছু গুঞ্জন উঠে আসে নানান রিপোর্টে। তারপরই মুশারফ পরিবার ঘটনা সম্পর্কে জানান দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে দুবাইতে রয়েছেন পরভেজ মুশারফ। মুশরাফের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আপাতত শারীরিকভাবে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর পক্ষে আর সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে পরিবার। তিনি গত তিন সপ্তাহ ধরে অসুস্থ বলেও জানানো হয়।
তাঁর দেশ পাকিস্তান তাঁকে শুনিয়েছিল ফাঁসির সাজা। যার ২০১৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দেশ দ্রোহের মামলা চলেছে। এরপর ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরবর্তীকালে স্বেচ্ছা নির্বাসনের রাস্তা ধরেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নাম প্রেসিডেন্ট জেনারেল পরভেজ মুশারফ। ১৯৯৯ সালের সেই যুদ্ধ দুই দেশের কূটনৈতিক নানান দিক প্রাসঙ্গিক করে তোলে। এদিকে, দেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের মসনদ বদলের পর ধীরে ধীরে কোণঠাসা হতে থাকেন মুশারফ। পরবর্তীতে তাঁর দুবাই গমন।
তবে পাকিস্তান থেকে দূরে থাকলেও পরভেজ মুশারফ বারবার কাশ্মীর প্রসঙ্গে কূটনৈতিক আদর্শে ইসলামাবাদের পক্ষেই সুর তুলেছেন। ব্রিটিশ ভারতে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী পরভেজ মুশারফ বড় হয়েছেন করাচির ইস্তানবুলে। লাহোরের ফরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক ইউকের রয়্যাল কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন পাক সেনায়। বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের পর তিনি বসেন পাকিস্তানের মসনদে। যদিও তাঁর উত্থানের মতোই রাজনৈতিক পতনও ছিল বেশ আকস্মিক।