বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভরতি করা হল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে। যদিও কী শারীরিক সমস্যা তা জানানো হয়নি। তবে বিএনপির তরফে তাঁর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই তাঁর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে খালেদা জিয়াকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক একিউএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের রোগে ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কয়েকটি পরীক্ষার জন্য কিছু সময় লাগবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা কর্মী ও আত্মীয়স্বজন। তাঁর আরও বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর লিভার, হার্টের সমস্যা, আথ্রাইটিস, ফুসফুস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যা-সহ নানা জটিলতা রয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তার আগে গত বছরের জুন মাসে হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেই সময় তাঁর হার্টে রিং বসানো হয়েছিল। তখন ১৩ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। এরপর ২০২১ নভেম্বরে লিভার সিরোসিস রোগের কারণে ৮১ দিন ধরে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি জিয়াকে অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিল আদালত। পরে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। তবে পরে জামিন দেয় আদালত। পরবর্তীতে কয়েক দফায় সেই জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup