জুতো নিক্ষেপের ঘটনার জন্য প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইকে দায়ী করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কাণ্ডে কাটজু। তিনি বলেছেন যে বিচারকদের আদালতে কম কথা বলা উচিত এবং বক্তৃতা দেওয়া উচিত নয়। ৭২ বছর বয়সি আইনজীবী রাকেশ কিশোর আদালতে প্রধান বিচারপতি গভাইয়ের দিকে জুতা ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন সম্প্রতি। এই কাণ্ড ঘটানো কিশোর দাবি করেছিলেন যে হিন্দু দেবতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন।
এই আবহে প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু বলেন, 'আমি প্রধান বিচারপতিকে জুতো নিক্ষেপের নিন্দা করছি, তবে খাজুরাহোতে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির সাথে সংযুক্ত একটি পিটিশনের শুনানি করতে গিয়ে তিনি নিজেই এই ঘটনার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।' উল্লেখ্য, সেই মামলায় আবেদনকারীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'আপনি বলছেন যে আপনি বিষ্ণুর একজন মহান ভক্ত। গিযে দেবতাকে নিজেকেই কিছু করতে বলুন। তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন।' এই আবহে মার্কাণ্ডে কাটজুর বক্তব্য, 'এই ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রয়োজন ছিল না। এগুলো অনুপযুক্ত ও অপ্রয়োজনীয়। মামলার আইনি বিষয়ের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না। বিচারকদের আদালতে কম কথা বলা উচিত। উপদেশ বা বক্তৃতা দেওয়া উচিত নয়। মসজিদ ভাঙার বিষয়ে আবেদনের শুনানিকালে একজন বিচারক যদি বলেন- আল্লাহ বা নবি মহম্মদকে এটি ঠিক করতে বলুন… তাহলে কী হবে?' এই নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে ওপিনিয়ন পিস লিখেছেন প্রাক্তন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর আদালত চলাকালীন এক আইনজীবী বিচারপতি বিআর গভাইয়ের দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। সেই আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, বিচারপতি গভাই সনাতন হিন্দু ধর্মের অবমাননা করেছেন। আইনজীবীর ছুড়ে মারা জুতোটি অবশ্য বিচারপতির গায়ে লাগেনি। পরে প্রবীণ ওই আইনজীবীকে আদালতকক্ষ থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সেই আইনজীবীকে চিৎকার করে বলেতে শোনা যায়, 'আমরা সনাতনের অপমান সহ্য করব না।' প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ওই বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন। তবে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই এই ঘটনায় বিচলিত হননি। পাশাপাশি আদালতের কাউকে এর জন্য বিভ্রান্ত হতেও বারণ করেছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। পরে এই ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এক্স বার্তায় লিখেছিলেন, সমস্ত ভারতবাসী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।