সকালেই টুইট করে ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থে’ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই যশবন্ত সিনহাকেই বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য পদপ্রার্থী ঘোষণা করল। কংগ্রেসের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা জয়রাম রমেশ এই বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে একজন প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। মোদী সরকারকে দেশের আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। এই আবহে আজকে দুপুরের এক বৈঠকে আমরা যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলের কাছেই আবেদন জানাব যাতে যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেন তারা।’
শরদ পাওয়ার, তারপর একে একে ফারুক আবদুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। এই আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহার নাম ভেসে উঠেছিল সম্ভাব্যদের তালিকায়। এই আবহে জল্পনায় ঘি ঢেলে একটি টুইট করেন যশবন্ত সিনহা।
এদিন এক টুইট বার্তায় যশবন্ত সিনহা লেখেন, ‘তৃণমূলে মমতাজি আমাকে যে সম্মান ও প্রতিপত্তি দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন একটা সময় এসেছে যখন বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আমাকে দল থেকে সরে এসে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে সে পদক্ষেপটি অনুমোদন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তাঁর এই টুইটের পরই জল্পনা শুরু হয় বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীর নাম নিয়ে। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণিত করে বিরোধীরা যশবন্তকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল।