কর্ণাটকের বোর্ড পরীক্ষার উফর হিজাব ছায়া। হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার পর সেখানে বহু ছাত্রী পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এদিকে এবার হিজাব সংক্রান্ত নতুন একটি ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, এক স্কুল পরীক্ষক বোরকা পরে আসায় তাXকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। পরে সেই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষকের নাম নূর ফাতিমা। তিনি বেঙ্গালুরুর সিদ্ধগঙ্গা স্কুলের পরিদর্শক ছিলেন।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষক ছাত্রীদের হিজাব পরার দাবির পক্ষে সওয়াল করে নিজে বোরকা পরে এসেছিলেন। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে তর্ক করে দাবি করেছিলেন যে হিজাব পরা পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
বেঙ্গালুরু উত্তরের ব্লক শিক্ষা অফিসার ভি রমেশ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। প্রধান সুপারিনটেনডেন্টের সাথে তিনি তর্ক করছিলেন। সুপার পরীক্ষার্থীদের হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যেহেতু পরীক্ষক কথা শোনেননি, তাই তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
এদিকে কর্ণাটক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এসএসএলসি পরীক্ষায় নথিভুক্ত করে ৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষায় উপস্থিত হয় এবং ২০ হাজার ৯৯৪ জন অনুপস্থিত ছিল। তবে সরকার এটা এখনও জানায়নি যে হিজাব বিতর্কের জেরে কতজন পরীক্ষায় বসতে অস্বাকীর করেছে। এদিকে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পরীক্ষার্থীরা হিজাব খুলে পরীক্ষা দিতে ঢুকছেন ক্লাসে।