ডিজেল এবং পেট্রলের উপর আবগারি শুল্ক কমানোর ফলে ৪৫ হাজার কোটি খরচ হবে এবং কেন্দ্রের রাজস্ব ঘাটতি ০.৩ শতাংশ বাড়বে। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করল জাপানি ব্রোকারেজ সংস্থা নমুরা। জাপানি ব্রোকারেজ সংস্থাটির দাবি, এর আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের রাজস্ব ঘাটতি ৬.২ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। তবে জ্বালানির দাম কমানোয় রাজস্ব ঘাটতি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও বাজেটের ৬.৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হবে এই রাজস্ব ঘাটতি।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার দীপাবলির প্রাক্কালে পেট্রলের উপর আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং ডিজেলের প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা করে। তবে ২০২০ সালে পেট্রলের উপর প্রতি লিটারে ১৩ টাকা এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ১৬ টাকা শুল্ক বৃদ্ধি ককেছিল কেন্দ্র। এরপর থেকে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলে দাম বৃদ্ধির কারণে জ্বালানির খুচরো মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে লাগাতার বেড়ে চলেছিল জ্বালানি তেলের মূল্য। দেশের প্রায় সবকটি বড় শহরে এক পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। ডিজেলের দামও কমপক্ষে ১৮ টি রাজ্যে সেঞ্চুরি পার করেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজেলের দাম ২৯ বার বেড়েছে। আর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রলের দাম ২৭ বার বেড়েছে। তার ফলে দেড় মাসেরও কম সময় এক লিটার পেট্রল-ডিজেলের দাম প্রায় ন'টাকা বেড়ে যায়। সেই আবহে কিছুটা স্বস্তি দিল কেন্দ্র।