হরিদ্বারে ধর্ম সংসদে ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনায় সরব হয়েছিলেন একাধিক সমাজসেবী, প্রাক্তন সামরিক কর্তা, প্রাক্তন সরকারি আধিকারিকরা। আর এবার সুর চড়ানো প্রাক্তন কর্তাদের বিরুদ্ধে ময়দানে নামলেন অপর এক দল প্রাক্তন সরকারি কর্তারা। সেই দলেই রয়েছেন প্রাক্তন ভারতের প্রাক্তন ফরেন সার্ভিস আধিকারিক কনওয়াল সিব্বল। তিনি ছাড়াও আরও ৩২ জন প্রাক্তন কূটনীতিবিদ অভিযোগ করলেন, ভারত সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ‘প্রচার’ চালানো হচ্ছে।
কূটনীতিবিদরা বলেন, ‘যেকোনও ধরনের হিংসার প্ররোচণা নিন্দনীয়। তবে এক দল সমাজসেবী, কিছু প্রাক্তন সরকারি আমলা, সামরিক কর্তা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।’
কনওয়াল সিব্বল সহ বাকি প্রাক্তন আধিকারিকদের এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘হিন্দুত্ববিরোধিতার ছদ্মবেশে ক্রমেই হিন্দু-বিরোধী মনোভাব গ্রহণ করা হচ্ছে। 'নাৎসিবাদ' এবং 'গণহত্যা'-এর মতো শব্দ প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সাংবিধানিক' সাজার চেষ্টা করে মোদী সরকারের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বেদ নিকেতন ধামে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্ম সংসদে প্ররোচণামূলক বক্তব্য পেশ করে হিংসার ডাক দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উপস্থিত সাধুরা। প্রকাশ্যে কট্টরপন্থার জয়জয়কার দেখা যায় সেই ধর্ম সংসদে। এভাবে প্রকাশ্যে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়ার ডাকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পরে ধর্ম সংসদের নামে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রাক্তন সামরিক কর্তারা। এবার সেই সকল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অপর এক দল আধিকারিক।