মোদীর খুব মেজাজ খারাপ চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাত নিয়ে। শুক্রবার ভোররাতে ট্রাম্পের করা এই আলপটকা মন্তব্য দিয়ে শুরু। তারপর সারা দিন চলল নানান কথাবার্তা ভারত ও চিনের তরফ থেকে। সরকারি ভাবে ভারত কিছু না বললেও নানান সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয় যে আমেরিকাকে বলে দেওয়া হয়েছে, এই সমস্যা আমরা নিজেরাই সামলে নেব। অন্যদিকে চিনের বিদেশমন্ত্রকও আমেরিকার মধ্যস্থতার প্রস্তাব খণ্ডন করে দিয়েছে। তবে পূর্ব লাদাখে কিন্তু অচলাবস্থা জারি রয়েছে। সেখানে কোনও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।
এদিন সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে ভারত যে কোনও রকমের মধ্যস্থতার বিরোধী, সেটা রাজনাথ সিং নিজেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারকে। বুধবার প্রথমবার ট্রাম্প বলেন তিনি মধ্যস্থতা করতে রাজি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানায় যে চিনের সঙ্গে কথা চলছে বিবাদ মেটানোর। কিন্তু ট্রাম্প তার পরের দিন ফের বলেন যে মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে, ওঁনার মন মেজাজ খারাপ। তখনই ভারত জানায় যে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর এপ্রিল চারের পর কোনও কথা হয়নি।
এরপরেই মার্কিন অনুরোধে রাজনাথ ফোন করেন ওই দেশের প্রতিরক্ষা সচিবকে। ভালো করে ভারতের অবস্থানটি বুঝিয়ে দেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঞ্চলে যে গতিবিধি হচ্ছে, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজনাথ জানিয়ে দেন যে ভারত-চিনের মধ্যে আলোচনার যে মেকানিজম আছে, সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তেজনা কমানোর জন্য।
এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন যে কোনও থার্ড পার্টির হস্তক্ষেপ লাগবে না অচলাবস্থা কাটানোর জন্য। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুর মীমাংসা হবে ও সেই জন্যে অনেক মেকানিজম আছে বলে জানান মুখপাত্র। অন্যদিকে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রেন গৌকিয়াং বলেন যে সীমান্তের অবস্থা স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর আগেও বিভিন্ন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে মুখে সব ইতিবাচক কথা বললেও আপাতত চিন কোনওভাবেই নিজেদের জায়গা থেকে সরছে না। পূর্ব লাদাখের চার জায়গায় একেবারে মুখোমুখি দুই রাষ্ট্রের সেনা। কবে মিটবে অচলাবস্থা, তা আপাতত বলা খুব শক্ত।