পাকিস্তানে প্রকাশ্য দিবালোকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারকে গুলি করে খুন করল আততায়ীরা। নিহত অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের নাম আমির হামজা। ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানও। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তান পঞ্জাবের ঝিলম এলাকার লিলা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায়। এই ঘটনায় চার জন অজ্ঞাত আততায়ীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কেনই বা তাঁকে খুন করা হল তা জানার চেষ্টা করছে পাক পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই আমির হামজা।
আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার চক্রী, পাক জঙ্গি সাজিদকে কালোতালিকা করার প্রস্তাব, বাগড়া দিল চিন
জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হামজা তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে সোমবার গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা আমির হামজাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আততায়ীরা সকলেই বাইকে করে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে। দুষ্কৃতীদের হামলায় আমির হামজার স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আততায়ীরা কোনও আপাত উদ্দেশ্য বা জিনিসপত্রের দাবি ছাড়াই গুলি চালায়। পুলিশ এটিকে ‘টার্গেট কিলিং’ বলেই মনে করছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদের কোনও ধারা যোগ করা হয়নি। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সুঞ্জওয়ান সেনা শিবিরে হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন এই আমির হামজা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ওই হামলায় দুই জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) সহ পাঁচজন ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং একজন সেনা জওয়ানের বাবা নিহত হয়েছিলেন। এছাড়াও, এই হামলায় ৬ জন মহিলা ও শিশু সহ ১০ জন আহত হয়েছিলেন।
পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ছিলেন হামজা। পাক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামজার ভাই আইয়ুব হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। হামলার সময় তিনি মোটরসাইকেলে করে তার ভাইয়ের গাড়ির পিছনে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি অভিযোগকারী হলেও পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছেন তিনিও। জানা যাচ্ছে অবসরের আগে তিনি ইমারজেন্সি সার্ভিসেস একাডেমীর ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে একইভাবে আইএসআইয়ের এক আধিকারিক আমির সরফরাজ আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।