তাঁর ছেলে সাদাসিধে। শুধু নিজের কাজের দিকেই ছেলের মনোযোগ থাকে। এমনই দাবি করলেন অঙ্কিতা ভাণ্ডারী খুনের মূল অভিযুক্ত পুলকিত আর্যের বাবা তথা বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বিনোদ।
রবিবার বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বিনোদ বলেন, ‘সাদাসিধে ছেলে। ও শুধু নিজের কাজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আমার ছেলে পুলকিত এবং অঙ্কিতা ভাণ্ডারী - দু’জনের জন্য বিচার চাই। ও কখনও এরকম কাজে জড়িত থাকতে পারে না।' দীর্ঘদিন ছেলের সঙ্গে আলাদা থাকেন বলে দাবি করে বিনোদ বলেন, 'পুলকিত নিরীহ।'
সেইসঙ্গে বিনোদের দাবি, তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরং বড় ছেলে অঙ্কিতের সঙ্গে নিজে থেকেই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিনোদ। বহিষ্কৃত (বিজেপি সেটাই জানিয়েছে) বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমার ছেলে নিরীহ। স্বচ্ছ তদন্তের জন্য বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমার ছেলে অঙ্কিতও ইস্তফা দিয়েছে।’
অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার
শনিবার উত্তরাখণ্ডের চিল্লা খাল থেকে ১৯ বছরের অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অঙ্কিতার। আঘাত আছে দেহেও। যিনি পুলকিতের রিসর্টে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: Ankita Bhandari Murder case: পুলকিতের ঘরে শিফট করতে বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে! গোপন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস
পুলিশের দাবি, তাঁকে দেহব্যবসায় নামার জন্য চাপ দিচ্ছিল পুলকিত। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না অঙ্কিতা। সেই বিষয়টি নিয়েই গত সোমবার অঙ্কিতার সঙ্গে বচসা হয় পুলকিত ও তার সহযোগীদের। তারপরই অঙ্কিতাকে খালে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তদন্ত বিপথে চালিত করতে নিজেই ‘মিসিং ডায়েরি’ করে পুলকিত। শেষপর্যন্ত শুক্রবার পুলকিত ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
'ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এলে তবেই মেয়ের শেষকৃত্য'
রবিবার সকালে অঙ্কিতার বাবা সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন, 'ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে এলে তবেই আমার মেয়ের শেষকৃত্য করব। মুখ্যমন্ত্রী (পুষ্কর সিং ধামি) আমায় বলেছেন যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে এবং ফাস্টট্র্যাক কোর্টে মামলার শুনানি হবে।' যদিও পরে প্রশাসনের আর্জিতে শেষকৃত্যে রাজি হন অঙ্কিতার বাবা। সেইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে ভিড় সরানোর আর্জি জানান।
আরও পড়ুন: Ankita Bhandari Murder: দেহে আঘাত অঙ্কিতার - দেহব্যবসা নিয়ে খুন করেছে বহিষ্কৃত BJP নেতার ছেলে?
সকাল থেকেই বিক্ষোভ
রবিবার সকাল থেকেই অঙ্কিতার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরাখণ্ড। বদ্রীনাথ-হৃষিকেশ হাইওয়ে অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। পাউরি গারওয়াল জেলার শ্রীনগরে মর্গের বাইরে অঙ্কিতার বাবা দেহ নিতে পৌঁছাতেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।