গো-রক্ষার স্বার্থে নয়া বিল পেশ করা হয়েছে অসম বিধানসভায়। কী কী বলা হয়েছে এই বিলে? বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, হিন্দু, জৈন, শিখ এবং যেসব সম্প্রদায় গোমাংস খান না, সেই সম্প্রদায়ের যেই এলাকায় বসবাস, সেখানে গোমাংস বিক্রি ও খাওয়ার উপর নিষিদ্ধ করা হবে। তাছাড়া বিলে আরও বলা হয়েছে যে কোনও মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেও বিক্রি করা যাবে না।
সোমবার অসম বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পেশ করেন অসম গো-সুরক্ষা বিল ২০২১। এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে গোহত্যা, গোমাংস খাওয়া এবং গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে যে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গবাদি পশুকে মারা যাবে না। এদিকে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে, এমন এলাকাগুলি গরুর মাংস বিক্রি ও খাওয়া যাবে না। এই আইন ভাঙলে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। তাছাড়া ৮ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে দোষীর। এদিকে কেউ একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে জরিমানা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এই আইন লাগু হলে বাংলাদেশে গরু পাচার কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এর আগে অসমে ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরুদের হত্যা করার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অবশ্য দাবি করেন যেই আইনে অনেক ফাঁক রয়েছে তাই নতুন বিল পেশ করা হয়েছে। নয়া বিল আইনে পরিণত হলে গোহত্যা নিয়ে আরও কড়াকড়ি লাগু হবে অসমে। উল্লেখ্য, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই ধরনের আইন থাকলেও তাতে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা রয়েছে যে গাভী হত্যা নিষিদ্ধ। তবে গো-সুরক্ষা আইনে মোষকে বাইরে রাখা হয়েছে। তবে অসম সরকারের পেশ করা নয়া বিলে সে রকম কিছু নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।