অমৃতসর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে বিস্ফোরণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাউন হাওড়া-অমৃতসর মেলের সাধারণ কামরায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ৪ জনের জখম হন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও আছেন। জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে শিরহিন্দ স্টেশনের কাছে। পরে জখম যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে বাজি ভরতি এক প্লাস্টিকের থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। (আরও পড়ুন: আজও বাংলার জেলায় জেলায় বৃষ্টি হবে, কবে থেকে নামবে পারদ?)
আরও পড়ুন: 'কি কিউট...', রাজ্যের বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি হলেও ঠকেছেন সরকারি কর্মীরা?
আরও পড়ুন: ৭২০০ কোটির দেনার বোঝায় আঁধারে ডুববে বাংলাদেশ? ১০০% বিদ্যুৎ বন্ধের বার্তা আদানির
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর জিন্দ-দিল্লি লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণের জেরে তিনজন যাত্রী অল্প জখম হয়েছিলেন। বিস্ফোরণের জেরে কামরার কিছুটা অংশে আগুন লেগে যায়। এই আবহে প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। জানা যায়, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ফুলকি বাজিতে পড়তেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। (আরও পড়ুন: ৩ কি ৪% নয়, ভাতা বাড়ল ৭ গুণ! পকেট ভারী হবে বাংলার কোন সরকারি কর্মীদের?)
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বই লিখেছে উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়ানো জগদীশ,চেয়েছিল PMO-র 'আশীর্বাদ'
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চ মাসে দানাপুর থেকে লোকমান্য তিলক যাওয়ার পথে দানাপুর-এলটিটি স্পেশাল ট্রেনের একটি এসি বগিতে হঠাৎ আগুন ধরে গিয়েছিল। এর আগে দিল্লি থেকে দ্বারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায় সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন ১০ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের স্লিপার কোচে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ইটাওয়ারই মৈনপুরী জংশনে। গভীর রাতে নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই সময় অনেক যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৯ জন যাত্রী।
এর আগে গত ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেই একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালেই আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩-এর ১৭ জুলাই ভোরে। মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল।