করোনাভাইরাসের জেরে আগেই রেলের আয় কমেছে। সে তথ্য লোকসভায় পেশ করে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার আবার দেশে আছড়ে পড়েছে ওমিক্রণ। তাই বিভিন্ন রাজ্যে লোকাল ট্রেন কখনও বন্ধ করতে হচ্ছে। আবার কখনও ৫০ শতাংশ চালাতে হচ্ছে। ভয়ে অনেকেই দুরপাল্লার ট্রেনে যাওয়াও বাতিল করছেন। এই পরিস্থিতিতে ঘুরপথে দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া বাড়তে চলেছে ভারতীয় রেল।
কেমন করে তা বাড়ানো হবে? রেল সূত্রে খবর, টিকিটের মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া গুণতে হতে পারে যাত্রীদের। কারণ পরে উন্নত স্টেশনগুলিতে অত্যাধুনিক সুযোগ–সুবিধা পাওয়া এবং স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য টিকিটের দামের উপর এই অতিরিক্ত টাকা ধার্য হতে চলেছে। যা আয় বাড়াবে রেলের।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্তা বলেন, ‘এই অর্থ রোজগার হলে আরও বেশি সংখ্যক স্টেশনের মানোন্নয়ন করা যেতে পারে। যাত্রীদের আরও বেশি করে পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে।’ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সব জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রেলের প্যাসেঞ্জার্স মার্কেটিং বিভাগের ডিরেক্টর বিপুল সিঙ্ঘল। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অসংরক্ষিত আসন থেকে এসি আসনের জন্য টিকিটের দামের সঙ্গে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে যাত্রীদের।
এই টাকা বাড়ানো হলে যাত্রীদের উপর চাপ বাড়বে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু রেল বোর্ডের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক শ্রেণিভিত্তিক স্টেশনগুলির মানোন্নয়ন করতে যাত্রীদের টিকিটে এই অতিরিক্ত মূল্য যুক্ত করা হবে। তবে সেটা টিকিটে উল্লেখ করা থাকবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এমনকী প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও বাড়তে চলেছে।
এই নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ এই স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে রেল বাজেটে আগেই টাকা ধার্য করা থাকে। এই বাড়তি টাকা কেন যোগ করা হবে? স্টেশনের মানোন্নয়ন হচ্ছে কি হচ্ছে না তা যাত্রীরা দেখতে যাবেন না। তাহলে কেন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে যাত্রীদের? এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মানুষের উপর বোঝা চাপবে।