করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে আমেরিকা, ভারত সহ গোটা বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে ফের অফিস খুলতে চলেছে। আগামী ১৫ জুন থেকে আমেরিকায় অবস্থিত অফিস খুলতে চলেছে ফেসবুকেরও। এই আবহে কর্মীদেরর উদ্দেশে বড় ঘোষণা করল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হল, অফিস খুললেও ইচ্ছে করলে পাকাপাকি ভাবে বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। শুধু তাই নয়, অন্য দেশ থেকে এশে যদি কেউ আমেরিকায় কাজ করে থাকেন, বা শহর বদলে থাকেন, সেসব কর্মীদের তাঁদের স্থানেও ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতি নিয়ে ফেসবুক বলেছে, আমাদের বিশ্বাস, কোথা থেকে কাজ করছি থেকে কী কাজ হচ্ছে, তা বেশি জরুরি। আমরা এমন একটি সংস্থা হতে চাই, যেখানে কর্মীরা তাঁদের সর্বোচ্চ স্তরের কাজ করতে পারবেন। এর জন্য সেই কর্মী কোথায় রয়েছেন, তা জরুরি নয়। এদিকে ফেসবুক জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ৫০ শতাংশ করে কর্মী অফিসে এসে কাজ করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী। যারা অফিসে এসে কাজ করবেন, তাদের কাজের সময় নমনীয় হবে। সবধরনের দূরত্ব বিধি এবং সুরক্ষা বিধি মেনেই কাজ চলবে অফিসে।
এর আগে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানান, এরপর থেকে তিনি মনে করছেন যে অফিসে এসে কাজের থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে বেশি প্রাধান্য দেবেন কর্মীরা। এবং এই মনোভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও মত প্রকা করেন তিনি। তাই তাঁর সংস্থা সেই অনুযায়ী নীতি বদল করে কর্মীদের সুবিধা করে দেবে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ এবং এশিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই তাদের অফিস খুলেছে ফেসবুক। তবে কর্মীদের জন্য শাটল গাড়ি বা অফিসে বিনামূল্যের খাবার এখনও দেওয়া হচ্ছে না। সবধরনের দূরত্ব বিধি এবং সুরক্ষা বিধি মেনেই কাজ চলছে সেসব অফিসে। ধারাবাহিক ভাবে কর্মীদের কোভিড টেস্টও করানো হচ্ছে। এদিকে ফেসবুকের আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা ঘোষণা করেছিল টুইটার। গুগল এবং মাইক্রোসফ্টও এরকম ভাবনা চিন্তা করছে।