একেবারে অবাক করা ঘটনা। গুজরাটের এক পড়ুয়া নিট ইউজিতে ৭২০র মধ্য়ে ৭০৫ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এখানেই একটা বড় মোড় রয়েছে। ওই ছাত্রী নিটে পাশ করলেও ১২ ক্লাসের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। গুজরাট সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
NEET-UG ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে নিট ও HSC পরীক্ষার রেজাল্টে কে কেমন করলেন তা ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আর সেখানে একেবারে মারাত্মক একটা বৈপরীত্য ধরা পড়়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিটে ওই ছাত্রী বিরাট রেজাল্ট করেছে। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষায় তিনি ৭০০র মধ্যে মাত্র ৩৫২ নম্বর পেয়েছেন। আর তাতেই চোখ ছানাবড়া অনেকের। তবে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই রেজাল্টের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আমেদাবাদের একটি কোচিং ক্লাসে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। একজন ডামি স্টুডেন্ট হিসাবে তিনি নাম লিখিয়েছিলেন। আমেদাবাদের সায়েন্স সিটি এলাকায় ওই সেন্টারটি রয়েছে।
এদিকে বোর্ডের মার্কশিট অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি ফিজিক্সে ২১ পেয়েছেন, কেমিস্ট্রিতে ৩১ পেয়েছেন, বায়োলজিতে ৩৯, ইংরাজিতে ৫৯। সব মিলিয়ে তিনি ৭০০ নম্বরের মধ্যে ৩৫২ নম্বর পেয়েছিলেন। এর জেরে তিনি ১২ ক্লাসে পাশ করতে পারেননি। এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা মা দুজনেই চিকিৎসক। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদেরও ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কারণ তাঁদের মেয়ে ভালো ফলাফল করতে পারেননি। এদিকে যে কোচিং ক্লাসে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন তারা জানিয়েছে যে অন্তত দুমাস তিনি ক্লাসে আসেননি। এদিকে স্কুলের কাছেও তার সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য় ছিল না।
এদিকে নিট ইউজির রেজাল্ট বের হওয়ার পরে হতবাক অনেকেই। যে ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণিতে ফেল করেছে সে আবার নিট ইউজিতে একেবারে মার কাটারি রেজাল্ট করেছে। তার নিটের রেজাল্টে জানা গিয়েছে তিনি ফিজিক্সে পেয়েছেন ৯৯.৮ পার্সেন্টাইল, কেমিস্ট্রিতে ৯৯.১ পার্সেন্টাইল, বায়োলজিতে ৯৯.১ পার্সেন্টাইল। সব মিলিয়ে তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯।
এদিকে অভিজ্ঞ মহলে মতে তিনি যে পার্সেন্টাইল পেয়েছেন তাতে তাঁর পক্ষে কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়াটা কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু তিনি যেহেতু বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করেছেন সেহেতু তাঁর পক্ষে মেডিকেলে ভর্তি হওয়াটা সম্ভব নয়। তবে এই ঘটনার জেরে হতবাক অনেকেই। কীভাবে এটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।