চাঁদের মাটিতে নেমে তথ্য সংগ্রহ করে বেড়াচ্ছে চন্দ্রযান ৩–এর রোভার প্রজ্ঞান। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিজ্ঞানীরা ইসরোর এই কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। এবার ইসরোর এক ভুয়ো বিজ্ঞানীর খোঁজ মিলল। গুজরাটের সুরাটের এক ব্যক্তি নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী দাবি করে সকলের নজরে এসেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন চন্দ্রযান মিশনের ল্যান্ডার মডিউল ডিজাইনের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অবশেষে ওই ভুয়ো বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মিতুল ত্রিবেদী।
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে মিলেছে সালফার, টাইটেনিয়াম, অক্সিজেন! কীভাবে এসব খুঁজছে প্রজ্ঞান?
জানা যায়, ওই ব্যক্তি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি দাবি। করেছিলেন তিনি চন্দ্রযান ৩ মিশনের সঙ্গে জড়িত। গত ২৪ অগস্ট বিক্রম ল্যান্ডারের সফল অবতরণের পরেই তিনি এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। জানা যায়, ওই ব্যক্তি নিজেকে ইসরোর ‘প্রাচীন বিজ্ঞান অ্যাপ্লিকেশন বিভাগের’ সহকারী চেয়ারম্যান বলে দাবি করেছিলেন। এমনকী সেই স্বপক্ষে তিনি একটি জাল নিয়োগপত্র তৈরি করেছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নামার পরেই পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি চন্দ্রযান ৩ মিশনের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না। তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হওয়ার মিথ্যা দাবি করেছিলেন। তিনি যে নিয়োগপত্র দেখিয়েছিলেন সেটিও ভুয়ো ছিল। ওই ব্যক্তি নিজেকে ইসরোর পরবর্তী প্রকল্প ’মার্কুরি ফোর্স ইন স্পেস’–র গবেষণা দলের সদস্য হিসাবেও দাবি করেছিলেন। ইসরো সম্পর্কে নানা মিথ্য প্রচার করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি এভাবে নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী দাবি করে সংস্থা সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করেছেন। সংস্থার সুনাম কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন।
এই ঘটনায় সুরাট সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (ছদ্মবেশী করে প্রতারণা), ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৬৮ (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি), এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করেছে। উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজ্ঞান রোভার এখন চাঁদ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সংগ্রহ করা উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেন।