নেপালের তারা এয়ার দুর্ঘটনায় ২২ আরোহীর কেউই জীবিত নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে নেপাল সরকার। সরকারি হিসেবে এই বিমানে ৪ ভারতীয়, ১৩ জন নেপালি, দু’জন জার্মান, এবং তিন বিমানকর্মী। কিন্তু এবার বিহারের ধনুশার মিথিলার এক পরিবার দাবি করল, দুর্ঘটনার কবলে পড়া সেই বিমানে ছিল তাঁদের পরিবারের সাতজন সদস্য। যা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। দাবি করা হয়, মুক্তিনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন বিহারের এই পরিবার। কিন্তু তাঁদের কারও কোনও খোঁজ নেই আর।
রাজনকুমার গোলে, তাঁর বাবা বাহাদুর গোলে, মা রামায়া গোলে, কাকা পুরুষোত্তম গোলে, কাকিমা তুলসিদেবী, মামা মকর বাহাদুর এবং সুকুমায়া তমাল নেপালে গিয়েছিলেন। তাঁরাও পোখরা থেকে বিমানে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কোনও খোঁজ নেই। এদিকে সরকারি হিসেবে নেপালের তারা এয়ারে চার ভারতীয়র মধ্যে তিনজন এক পরিবারের। বৈভবী ত্রিপাঠি ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী অশোক ত্রিপাঠী তাঁদের সন্তানকে নিয়ে আদালতের নির্দেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন নেপালে। তাছাড়া আরও এক ভারতীয় ছিলেন বিমানে। তবে গোলে পরিবারের কোনও উল্লেখ নেই নেপাল সরকারের নথিতে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে তারা এয়ারের ৯ এনএইটি বিমানটি নেপালের পোখারা থেকে জোমসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের পর থেকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। নেপালের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মুসতাং জেলার জোমসমের আকাশে বিমানটি শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর তা ধৌলাগিরি শৃঙ্গের দিকে বাঁক নিয়েছিল। তখন থেকেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর আজকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ মিলল। ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদের ধারে পড়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৪ জনের ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর নেপাল সরকারের তরফে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ‘বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।’