এবারের মহাকুম্ভে একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। সেই ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছে দেশবাসী। আর সেই মহাকুম্ভের আসরে দেখা মিলেছে আইআইটি বাবা আভে সিংয়ের। কার্যত সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঝড়ের মতো ভাইরাল হয়েছে তাঁর পূর্বাশ্রমের কথা।
তিনি এসেছিলেন কুম্ভ মেলায়। এরপর সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরার সামনে তিনি তাঁর পূর্বাশ্রমের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রাক্তন অ্য়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। একেবারে ঝরঝরে ইংরেজি বলেন।
এদিকে আভে সিংয়ের এই বর্তমান অবস্থানের কথা জানতে পেরেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এনডিটিভিকে তাঁর বাবা করণ গ্রেওয়াল জানিয়েছেন আমাদের পরিবার চাইছে আভে যেন ফিরে আসে। তবে এত কিছু পাওয়ার পরে ফিরে আসাটা সহজ কাজ নয়।
ওই সন্ন্যাসীর বাবা পেশায় আইনজীবী। তিনি ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আভে চিরদিনই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন। সবসময় একেবারে সবার সেরা। আইআইটি বোম্বে থেকে পাশ করেছিলেন তিনি। এরপর ডিজাইনের উপর মাস্টার্স করেন। এরপর নিউ দিল্লি আর কানাডায় চাকরি করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি কানাডা থেকে ফিরে এসে একাধিক আধ্যাত্মিক জায়গায় থাকা শুরু করেন। সিমলা, মুসৌরি, ধর্মশালাতে ছিলেন তিনি। এরপর তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি বরাবরই আধ্যাত্মিকতার পথে ছিলেন। এনডিটিভিকে জানিয়েছেন তাঁর বাবা।
ছেলের সঙ্গে কথা হয়?
বাবা জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর আমায় ব্লক করে দিয়েছে। আমার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ। তিনি জানিয়েছেন, আমি জানতে পেরেছিলাম ছেলে হরিদ্বারে আছে। সেই মতো তার কাছে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। তবে এখন তো সে মিডিয়াতে ভাইরাল।
আপনি কি ছেলেকে ফিরে পেতে চান?
বাবা বলেন, অবশ্যই চাইব ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। তার মাও বলছে ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। পরিবারের যত্ন নিক। কিন্তু সে বলছে সন্ন্যাসী হওয়ার পরে আর পরিবারে ফেরা সম্ভব নয়।
এদিকে আভে সিংয়ের এই প্রতিক্রিয়া শুনে বাবার কী অনুভূতি হয়েছিল?
বাবা জানিয়েছেন, সবসময়ই ও স্বাধীন থাকতে ভালোবাসত। সে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই হয়েছে। প্রত্যেকেরই তার মতো করে জীবন ধারণ করার অধিকার রয়েছে। আমি তাকে চাপ দিতে পারি না।
শেষবারের মতো চেষ্টা করবেন?
বাবার উত্তর, আমি চেষ্টা করব। আমার মন বলছে সেই জায়গা পর্যন্ত গেলেও সে আর ফিরবে না।
এনডিটিভিতে আভে সিং বলেছিলেন, ছোটবেলাতে গার্হস্থ্য হিংসা দেখেছিলাম। এরপর আর বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়নি। মনে হয়েছিল শান্তির, একলা জীবন খুব ভালো।