সমাজকর্মী তথা রাজনৈতিক দার্শনিক মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি এবং তাঁর ভাই সেনেটর রবার্ট এফ কেনেডির হত্যা সংক্রান্ত যাবতীয় গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনতে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন তিনি।
এবার তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের পরিবারের বর্তমান সদস্যরা। তাঁদের পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের অপমৃত্যুকে একান্তভাবেই 'গভীর ব্যক্তিগত ক্ষতি' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাটি স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প ঘোষণা করেন, 'সবকিছু সামনে আসবে' নিউ ইয়র্ক পোস্টে অন্তত এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই এ নিয়ে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের উত্তরসূরিরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করলেন।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা সেই বার্তায় বলা হয়েছে, 'আজ আমরা জানতে পারলাম, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, তাঁর ভাই রবার্ট এফ কেনেডি এবং আমাদের পিতা ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যা সংক্রান্ত অবশিষ্ট সমস্ত গোপন তথ্য প্রকাশ করা হবে। আমাদের কাছে আমাদের পিতার এই হত্যা একান্তভাবেই আমাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ক্ষতি। যা গত ৫৬ বছর ধরে আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু জনসমক্ষে আনার আগে পরিবারের সদস্য হিসাবে আমাদেরই আগে ওই ফাইলগুলি দেখানো হবে।'
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে গুলি করা হয়েছিল। আততায়ীর নাম ছিল জেমস আর্ল রে। ঘটনাটি ঘটেছিল টেনেসির মেমফিস এলাকায় অবস্থিত লরেন মোটেলে। এই হামলার পরই তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট জোসেফ'স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর।
সেই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যাতে প্রকাশ্যে আনা হয়, সেই দাবি বহু বছর ধরেই নানা মহল থেকে তোলা হয়েছে। কিন্তু, নানা কারণে সেই দাবি এর আগে পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি।
নানা সময়ে মার্কিন প্রশাসনের যুক্তি ছিল - এই সংক্রান্ত তথ্যাবলী প্রকাশ্য়ে আনা হলে তা দেশের প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা বিভাগ, আইন বিভাগ অথবা কূটনৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। এই কারণেই মার্কিন জনতার তথ্য জানার অধিকার উপেক্ষা করে এই তথ্য়াবলী এত দিন ধরে গোপন রাখা হয়েছিল।