কৃষকদের বিক্ষোভের মধ্যেই নয়া কৃষি আইন নিয়ে উদ্বেগ কাটাতে আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের ফলে চাষিরা নয়া সুযোগ পেেয়েছেন।
রবিবার মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ৭১ তম সংস্করণে নয়া কৃষি আইনের ফলে কীভাবে কৃষিক্ষেত্র লাভবান হয়েছে, তা প্রমাণের জন্য এক চাষির উদাহরণ তুলে ধরেন। দাবি করেন, নিজের সুবিধার্থে ওই চাষি নয়া কৃষি আইনের ব্যবহার করেছেন। মোদী বলেন, ‘ভারতের কৃষি এবং সেই সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে নয়া দিক যোগ হচ্ছে। গত কয়েকদিনে কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কার হয়েছে, তা আমাদের চাষিদের জন্য সম্ভাবনার নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’
মোদী দাবি করেন, দশকের পর দশক ধরে চাষিদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। আদতে তা হয়নি। কিন্তু যাবতীয় খুঁটিনাটি বিবেচনার পর সংসদে নয়া কৃষি আইন পাশের মাধ্যমে কৃষকদের সেই দাবি পূরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই সংস্কারের ফলে শুধুমাত্র কৃষকদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেনি, তাঁদের নয়া অধিকার এবং সুযোগও এনে দিয়েছে। কৃষকরা যে সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করেছে এই অধিকারগুলি।’
মহারাষ্ট্রের কৃষক জিতেন্দ্র ভৌজির কাহিনি তুলে ধরে মোদী দাবি করেন, এতদিন যে টাকা পাচ্ছিলেন না, নয়া কৃষি আইনের মাধ্যমে তা আদায় করতে পেরেছেন তিনি। চার মাস আগে ফসল বিক্রি করলেও তিনি পুরো টাকা পাননি। কিন্তু নয়া আইনের আওতায় সেই টাকা ফেরত পেয়েছেন জিতেন্দ্র। যে আইন অনুযায়ী, শস্য কেনার তিনদিনের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে চাষিদের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। মোদী বলেন, ‘যদি টাকা মেটানো না হয়, তাহলে কৃষক অভিযোগ করতে পারেন। নয়া আইন অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার এসডিএমকে সেই অভিযোগের সমাধান করতে হবে। নয়া আইনের মাধ্যমে কৃষকরা যে ক্ষমতা পেয়েছেন, তার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান হবেই। উনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের বকেয়া টাকা পেয়ে গিয়েছেন। আইনের বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা জরুরি এবং সঠিক তথ্য থাকাও প্রয়োজনীয়।’