কৃষি বিলের স্বপক্ষে এবার আসরে নামলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি দাবি করলেন, কৃষকদের সবরকম স্বার্থের কথা রেখে কৃষিক্ষেত্রে নয়া সংস্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে যে কোনও বিভ্রান্তি দূর করতে কেন্দ্র সর্বদা আলোচনার জন্য তৈরি বলে জানালেন রাজনাথ।
সোমবার ফিকির বার্ষিক সাধারণ সভায় রাজনাথ দাবি করেন, ‘কৃষক ভাইদের কথা শোনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত’ সরকার। কৃষিকে ‘সকল (ক্ষেত্রের) ভিত্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রিত্বের নিরিখে মোদী সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের কৃষিক্ষেত্রে কখনও কোনও অনগ্রসরমূলক পদক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। ভারতীয় কৃষকদের সবরকম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নয়া সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
রাজনাথের সেই সওয়ালের দিন সকাল থেকেই দিল্লি ও হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে অনশনে বসেছেন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতারা। একইসঙ্গে দেশের সব জেলার সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। ধরনাও চলবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। যে আন্দোলন ইতিমধ্যে ১৯ দিনে প্রবেশ করেছে। দিল্লির সীমান্ত-লাগোয়া একাধিক জায়গার বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। রাজনাথ দাবি করেন, কৃষকদের বক্তব্য শুনতে রাজি কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘কৃষক ভাইদের কথা শুনতে, তাঁদের বিভ্রান্তি দূর করতে আমরা সর্বদাই রাজি। তাঁদের যাবতীয় আশ্বাস দিতেও তৈরি আমরা। আলোচনার জন্য আমাদের সরকারের দরজা সর্বদা খোলা আছে।’
ইতিমধ্যে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে পাঁচ দফায় বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতে জট কাটেনি। বরং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকের পরও অটল আছেন কৃষকরা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও একাধিকবার কৃষি আইনের স্বপক্ষে মুখ খুলেছেন। ফিকির মঞ্চ থেকেই বলেছিলেন, 'কৃষিক্ষেত্র এবং সেই সংক্রান্ত খাতের মধ্যে দেওয়াল দেখেছি। তা সে কৃষি পরিকাঠামো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ বা হিমঘর হোক - আমরা দেওয়াল চাই না। আমরা সেতু চাই। সব দেওয়াল এবং বাধা এখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্কারের পরে কৃষকরা নয়া বাজার, নয়া সুযোগ এবং প্রযুক্তির আরও সুফল পাবেন। তার ফলে আরও বিনিয়োগ আসবে।' কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কৃষকদের স্পষ্ট দাবি, নয়া তিন আইন প্রত্যাহার করতে হবে।