নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব খারিজ করে দিল কৃষক সংগঠন। বুধবার দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কৃষি আইন ফিরিয়ে না নেওয়া হলে একে একে দিল্লির সমস্ত রাস্তা অবরোধ করা হবে। পাশাপাশি, সিংঘু সীমান্ত পার করে দিল্লিতে প্রবেশের বিষয়ে আগামিদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা শিবকুমার।
মঙ্গলবার রাতে ১৩ জন কৃষক নেতার সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত জানিয়েছিলেন, কৃষকরা যে বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন, তা নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেইমতো বুধবার ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (একতা উগরাহন) জোগিন্দর সিং উগরাহন-সহ ১৩ জন কৃষি নেতাকে সেই প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র। তারপর তা নিয়ে বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা।
পরে বিকেলের দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয, প্রস্তাবে নতুন কিছু নেই। ক্রান্তিকারী কিষান ইউনিয়নের সভাপতি দর্শন পাল বলেন, ‘আমরা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছি।’ তার ফলে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলির ষষ্ঠ দফার বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে কৃষক নেতা শিবকুমার কাক্কা বলেছেন, ‘তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরের দফার বৈঠক হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
তার আগে অবশ্য বিক্ষোভের মাত্রা আরও বাড়ানোর পথে হাঁটছেন কৃষকরা। সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১২ ডিসেম্বর আগ্রা-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করা হবে। সেদিন দেশের কোনও টোল প্লাজায় কর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। সেদিন পর্যন্ত জয়পুর-দিল্লি হাইওয়ে রুদ্ধ করে রাখবেন কৃষকরা। ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রতিটি রাজ্যের জেলা সদর দফতরে ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। ধাপে ধাপে রুদ্ধ করে দেওয়া হবে দিল্লির সমস্ত রাস্তা। একইসঙ্গে সিংঘু সীমান্ত পার করে কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশ করবেন কিনা, সে বিষয়ে আগামি কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা শিবকুমার।