আপাতত ২৯ নভেম্বরের সংসদ অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তবে কৃষকদের সাফ বক্তব্য, ন্যূনতম সমর্থন মূল্য, বিক্ষোভের সময় কৃষকদের মৃত্যু এবং লখিমপুর নিয়ে কথা বলতে হবে সরকাকে। এই ইস্যুগুলি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে সরকার আলোচনা না করলে বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি কৃষক নেতাদের।
উল্লেখ্য, হরিয়ানা-দিল্লি সিংঘু সীমানায় কৃষক আন্দোলনের ভূমিকা নিয়ে বৈঠক করে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেই বৈঠকেই আগামী ২৯ নভেম্বর ট্র্যাক্টর নিয়ে সংসদ অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধআন্ত নেওয়া হয়। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংসদ অভিযান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্ব। এনিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর ফের সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পরবর্তী বৈঠক হবে।
আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ওইদিনই কৃষি পণ্যের উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে সংসদ অভিযানে সামিল হওয়ার কথা ছিল ৬০টি ট্র্যাক্টরের। এর আগে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন কৃষকরা। তবে এই প্রথম সরকারি আশ্বাসে কিছুটা নরম হলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা।
এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর শনিবার জানান, ন্যূনতম সহয়াক মূল্য ব্যবস্থা সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করতে যে কমিটির ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, তাতে কৃষক ইউনিয়নগুলিরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তোমর আরও বলেন, 'তিনটি কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণার পর কৃষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে নেই। আমি কৃষকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে তাঁরা আন্দোলন শেষ করে বাড়ি ফিরে যান।'
এমএসপি ছাড়াও কৃষকদের দাবি ছিল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে নরেন্দ্র সিং তোমরের বক্তব্য, 'প্রতিবাদের সময় নথিভুক্ত করা মামলাগুলি তো রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের অধীনে আসে এবং এই বিষয়ে চূড়ান্ত তারা সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্য সরকারগুলি তাদের রাজ্য নীতি অনুসারে ক্ষতিপূরণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে।'