দিল্লিতে নির্ধারিত রুট বদল কৃষকদের, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, চলল লাঠি-জলকামান
২ মিনিটে পড়ুন .Updated: 26 Jan 2021, 01:11 PM IST
লেখক Ayan Das
কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে দিল্লি ও দিল্লি লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুরু হয়েছিল মিছিল। নির্ধারিত রুটও মানা হয়নি। তার ফলে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে দিল্লি ও দিল্লি লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। একাধিক জায়গা থেকে কৃষক ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের খবর মিলেছে। লাঠিচার্জ করা হয়েছে। চলেছে জলকামান, ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। তারইমধ্যে বিক্ষোভকারী কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত রুটে মিছিলের কথা থাকলেও কয়েকটি সংগঠন তা লঙ্ঘন করেছে।
কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের আপডেট :
মধ্য দিল্লির আইটিওতে এক পুলিশ আধিকারিককে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। তাঁদের হাত থেকে ওই পুলিশ আধিকারিককে বাঁচান অন্যান্য কৃষকরা।
#WATCH: A Delhi Police personnel rescued by protesters as one section of protesters attempted to assault him at ITO in central Delhi. #FarmLawspic.twitter.com/uigSLyVAGy
কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে নির্ধারিত রুট মেনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি সংগঠনে আগেভাগেই মিছিল শুরু করে দিয়েছে। সঙ্গে নির্ধারিত রুটেও যেতে চাইছে না। কৃষক নেতা নরেশ নেতা বলেন, 'এরা যুবপ্রজন্মের এবং আবেগে ভেসে গিয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ এবং অহিংসাত্মক বিক্ষোভের আর্জি জানাচ্ছি।'
Protesters who marched from the Singhu border to Delhi during a tractor parade breached the police barricades which led to the latter firing tear gas at the farmers#TractorRally
সরাই কালে খানে রিং রোডে পৌঁছে গিয়েছেন শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী কৃষক। তাঁরা মধ্য দিল্লিল আইটিওয়ের অভিমুখে যাচ্ছেন। যা নির্ধারিত রুটে ছিল না। কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও পুলিশের তুলনায় কৃষকদের সংখ্যা ঢের বেশি ছিল। তাঁরা রিং রোডের দু'দিকের রাস্তার দখল নিয়ে নেন। ইন্ডিয়া গেট থেকে দূরত্ব মেরেকেটে চার কিলোমিটার হওয়ায় কৃষকদের এগোতে দেয়নি পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ডিভাইডারের উপর ট্র্যাক্টর তুলে দেন।
ট্র্যাক্টর মিছিলের কারণে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ভুল লেনে ট্র্যাক্টরর নিয়ে এগিয়ে য়েতে থাকেন। পুলিশের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে, তাঁরা অক্ষরধামের দিকে এগোচ্ছেন। ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লাঠিচার্জ পুলিশের। (ছবি সৌজন্য সঞ্জীব বর্মা/হিন্দুস্তান টাইমস)
ট্র্যাক্টর মিছিল আসতেই স্বরূপনগরের বাসিন্দারা কৃষকদের উপর পুষ্পবর্ষণ করেন।
গাজিপুর সীমান্তে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশ।
গাজিপুর সীমান্তে ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেল। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)
সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে খণ্ডযুজ্ঝ হয়। কৃষকরা জলকামানের গাড়ির মাথায় উঠে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছে পুলিশ।
বিক্ষোভরত ৪১ টি কৃষক সংগঠনের মাথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার এক নেতা জানান, কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙেছেন। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক বিক্ষোভে নেতৃত্ব প্রদানকারী ওই সদস্য জানিয়েছেন, পুলিশের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সোমবারই কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি জানিয়েছিল, দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত আউটার রিং রোডে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই রেশ ধরে মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনের সভাপতি সতনম সিং পান্নু জানিয়েছেন, পুলিশের নির্ধারিত রুট মেনে চলবেন না। তিনি বলেন, ‘আউটার রিং রোডে আমরা ট্র্যাক্টর মিছিল করব। ব্যারিকেেড সরিয়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি।’
সিংঘু সীমান্তের থেকে আগত একটি মিছিল ইতিমধ্যে দিল্লির সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে পৌঁছে গিয়েছে। তারপর তা ডিটিইউ-শাহবাদ, এসবি ডেয়ারি-দারওয়াল-ভাবনাওয়া টি পয়েন্ট-কাঞ্জাওয়াল চৌক- খারখোদা টোল প্লাজার দিকে যাবে।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নাগাদ খবর পাওয়া যায়, সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের মিছিল। যে রাস্তা মিছিলের নির্ধারিত রুটে নেই।