জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন রাস্তা আটকে রাখা যাবে না। শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এ বিষয়ে মামলা করেন এক মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর আগে নয়ডা থেকে দিল্লি অফিস যাতায়াতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগত। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রধান রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে তাঁকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সময় লাগছে প্রায় ২ ঘণ্টা।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ যাতায়াতের পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। বেঞ্চ জানায়, বারবার কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জনগণের রাস্তা ফাঁকা করা হচ্ছে না। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে গত নভেম্বর থেকেই অবস্থান বিক্ষোভে হাজার-হাজার কৃষক। কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। সেই সময় থেকে অবরুদ্ধ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এর ফলে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে যানবাহন। এর ফলে যাতায়াতকারীদের অনেক বেশি সময় লাগছে। মহিলার মামলার শুনানিতে বেঞ্চ জানায়, 'বহু মাস ধরেই সমস্যাটা রয়েছে। রাস্তা অবমুক্ত করা উচিত। বহুদিন ধরে এভাবে অন্যের অসুবিধা তৈরি করা অনুচিত।'
দিল্লি পুলিশের তরফে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তাঁর উদ্দেশে বেঞ্চ বলে, 'আপনারা (দিল্লি পুলিশ) কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন তাই নিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না। আমরা আগেও এ বিষয়ে কোর্টের মত প্রকাশ করেছি। রাস্তা এভাবে বন্ধ করা একদমই উচিত নয়। এই মহিলা একজন সিঙ্গেল মাদার- তিনিও এই রাস্তা অবরোধের ফলে কত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।'
বেঞ্চের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন তুষার মেহেতা। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার রাজ্য সরকারের উপস্থিতিও তিনি আবেদন করেন।