এখনও শাপমুক্তি হল না পাকিস্তানের।ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের আঞ্চলিক শাখার রেটিং কিছুটা হলেও ভালো ফল করেছে পাকিস্তান।তবে এখনও পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় থাকতে হবে।৪০ পয়েন্টের মধ্যে পাকিস্তানের রেটিং ২১।অর্থাৎ ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ৪০টির মধ্যে ২১টি শর্ত পূরণ করতে পেরেছে পাকিস্তান।
২০১৮ সালে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের তরফে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয়।এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।এই ধূসর তালিকাভুক্ত থাকার ফলে পাকিস্তানকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।সাধারণত যদি কোনও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থের জোগান দেয়, তাহলে সাধারণত সেই দেশকে এই ধরনের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়।সম্প্রতি টাস্ক ফোর্সের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচটি শর্ত পুরোপুরি মেনেছে পাকিস্তান।১৫টি শর্ত অনেকটাই মানা সম্ভব হয়েছে।একটি শর্ত আংশিক মানা হয়েছে।যদিও পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন–দাবি করেছে, ফিনানশিয়াল অ্যাকষন টাস্ক ফোর্সের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তান ৭টি শর্ত পুরোপুরি মেনেছে।২৪টি শর্ত অনেকটাই মেনেছে।আংশিক মেনেছে ৭টি শর্ত ও একেবারেই মানেনি ২টি শর্ত।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে এই রিপোর্টের বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, ইসলামাবাদ আগের থেকে অনেকটাই ভালো ফল করেছে।ইতিমধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের তরফে তৃতীয় রিপোর্ট পেশ করা হয়। তবে সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। ফিনান্সিয়াল টাস্ক ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান আগের থেকে অনেকটাই নিজেদের উন্নত্ করেছে।তবে এখনও পর্যন্ত অনেক শর্তই পাকিস্তানকে মানতে হবে আন্তর্জাতিক আর্থিক ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধূসর তালিকাভুক্ত দেশ থেকে পাকিস্তানের বেরিয়ে আসা এখনই সম্ভব হচ্ছে না।পাকিস্তানের কাছে একদিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা ও অন্যদিকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন ফোর্সের শর্ত মেনে কাজ করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়।