ট্যাংরা ও হালতু কাণ্ডের ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে। রবিবার সকালে গিরিডি জেলার একটি বাড়ি থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তথ্য দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু আছে ও একজন ৩৬ বছর বয়সি ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বাবা নিজের তিন সন্তানকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপরে নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতরা হলেন- সানাউল আনসারি (৩৬) ও তার তিন সন্তান আফরিন পারভীন (১২), জাইবা নাজ (৮) ও সাফাউল আনসারি (৬)। (আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে পাকিস্তানে খতম একের পর এক ভারত বিরোধী জঙ্গি, একনজর দীর্ঘ তালিকা)
আরও পড়ুন: আবু কাতালের সঙ্গে মৃত হাফিজ সইদ? ভাইরাল ভিডিয়ো ও ছবি ঘিরে বাড়ছে রহস্য
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গিরিডির খুখরা থানা এলাকার। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। শনিবার তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি তিন সন্তানকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বাবা ও তিন সন্তানেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ সব দিক থেকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, তিন শিশুকে হত্যার পর সেই ব্যক্তি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। (আরও পড়ুন: তমলুকে 'আল্লাহু আকবর' বলতে বাধ্য করা হয়েছে হিন্দুদের, অভিযোগ বিজেপির)
আরও পড়ুন: 'কলকাতা থেকে কাশ্মীর ২ ঘণ্টায়', বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইপারলুপ টিউব হবে ভারতে
গিরিডির পুলিশ সুপার বিমল কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর বাপের বাড়িতে প্রথমে সন্তানদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। এই ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট এবং তদন্তকারীরা আর্থিক দুর্দশা এবং ব্যক্তিগত বিরোধ-সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে সেহেরির জন্যে সানাউল আনসারি ও তার সন্তানরা বাড়ি থেকে বের হয়নি দেখে গ্রামবাসীদের প্রথমে সন্দেহ হয়। উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা তাদের দরজায় কড়া নাড়ে, কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে তারা দরজাটি ভেঙে ফেলে। এরপরই তারা মৃতদেহগুলি দেখতে পায়।