ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস কি কারও কথায় বা নির্দেশে হামলা চালিয়েছিল? ক্রমেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খুনের চেষ্টার তদন্তে নেমে এফবিআই বলল, এই ঘটনাটি 'ঘরোয়া জঙ্গি কার্যকলাপ'। তদন্তকারীরা জানান, ক্রুকস একাই এই হামলা চালিয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে তাকে কেউ সাহায্য করেছে বলে জানা যায়নি। এদিকে জানা গিয়েছে, ক্রুকস নিজে রিপাবলিকান ভোটার হিসেবে রেজিস্টার্ড ছিল। যদিও বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই ২০২১ সালে সে একটি 'প্রোগ্রেসিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটিকে' ১৫ ডলার অনুদান দিয়েছিল। সেই 'প্যাক' বাইডেনপন্থী ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 'আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা শত্রু নই', ট্রাম্পকে নিয়ে বার্তা বাইডেনের)
আরও পড়ুন: '৩১% হারে দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা…', ডিএ মামলায় ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে সরকারি কর্মীরা
এদিকে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে রবিবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, তদন্তের স্বার্থে সংস্থা তাদের 'পূর্ণ শক্তি' প্রয়োগ করেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এদিকে মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন হওয়ার কথা আর কয়েকদিনেই। এরপর আগামী মাসে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনও হওয়ার কথা। এই সব রাজনৈতিক সমাবেশে যাতে এই ধরনের আর কোনও ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এফবিআই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের খরচ হবে ৪১৭৭০ কোটি, ডিএ মামলায় জয় পেলে কার পকেটে ঢুকবে কত? বুঝুন হিসেব
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তদন্তের দায়িত্বে আছেন এফবিআই ফিল্ড এজেন্ট কেভিন রোজেক। তিনি জানান, ক্রুকস এআর-৫৫৬ ধরনের রাইফেল ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছিল। সেই বন্দুকটি ক্রুকসের বাবা বৈধ উপায়েই কিনেছিলেন। তবে সেই আগ্নেয়াস্ত্র ক্রুকসের হাতে কী করে এল, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত জারি রাখা হয়েছে। এদিকে ক্রুকসের ফোন ঘেঁটেও আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে তদন্তকারীরা জানান, ক্রুকসের পরিবার তদন্তে তাদের সাহায্য করছে। এদিকে থমাসের গাড়িতে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, তিনি ওই গাড়িটি চালিয়ে সমাবেশে এসেছিলে সে। এদিকে ক্রুকসের বাড়িতেও বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১৯ দিন পর আজ ডিএ মামলায় 'বড় বদল', তাহলে কি মুখে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের?
উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন গুলি চলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে হামলাকারী বন্দুকবাজকে খতম করা হয় সঙ্গে সঙ্গেই। অপরদিকে এই গুলি চালানোর ঘটনায় জনসভায় আগত একজনের মৃত্যু হয়। আরও একজন গুরুতর ভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি আছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এবং গুলির শব্দ শুনে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁকে ঘিরে ফেলছেন। তখন ট্রাম্পের মুখে রক্তাক্ত। সেই অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তদন্তে নেমে সেই বন্দুকবাজকে ক্রুকস হিসেবে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা।