রোজকার ঝগড়া। খুঁটিনাটি নিয়ে লেগেই থাকত। একে সাতটি মেয়ে। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য গঞ্জনা শুনতে হত। স্বামীর সঙ্গেও নিত্য ঝগড়া। জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল বাদামদেবীর। বাসিন্দাদের ধারণা রোজকার অশান্তি সহ্য করতে না পেরে পাঁচ মেয়েকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন মা। অভিযোগ এমনটাই। পুলিশ সূত্রে খবর প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের চেচাত থানা এলাকার কালিয়াহেদি গ্রামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই মহিলার স্বামী একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে গ্রামবাসীরাই ওই দেহগুলিকে কুয়োর মধ্যে দেখতে পান। এরপর মহিলার স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন। ঘটনার খবর পেয়েই তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কেন তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছিল এনিয়ে তিনি পুলিশকে কিছু জানাননি। ওই ব্যক্তি কম্বল ও কাপড় ফেরি করেন।
পুলিশ আধিকারিক রাজেন্দ্র মিনা বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে কুয়োটি রয়েছে। সেখানেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই পাওয়া যাচ্ছে। কুয়ো থেকে ৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর মায়ের বয়স ৪০ বছর। মেয়েদের বয়স এক বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তবে ৭ বছর বয়সী ও ১৫ বছর বয়সী দুটি মেয়ে আতঙ্কে মায়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। তারা বেঁচে গিয়েছে। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।