অক্টোবরেই করোনাভাইরাসের সন্ধানে তদন্ত শুরু করছে ফেলুদা। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রক জানিয়েছে, জেনেটিক এডিটিং প্রক্রিয়া CRISPR/Cas-9 অর্থাৎ ফেলুদা কোভিড টেস্ট চলতি মাসেই ভারতে চালু করা হবে। সম্পূর্ণ দেশজ প্রযুক্তিতে তৈরি কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতিটি বাজারজাত করতে চলেছে টাটা সন্স।
সেপ্টেম্বর মাসে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল-এর অনুমোদন পেয়ে গিয়েছিল ফেলুদা। দেখা গিয়েছে, কোভিড পরীক্ষার এই পদ্ধতি ৯৬% বেশি সংবেদনশীল এবং জীবাণু তল্লাশির ক্ষেত্রে ৯৮% বেশি অব্যর্থ। ফেলুদার উদ্ভাবক ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি।
ফেলুদা ছাড়া আরও দুটি কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতি অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ। ক্লিনিক্যাল স্যাম্পল পরীক্ষার আর এক পদ্ধতিতেও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার নামে নামকরণ করা হয়েছে কম খরচ ও দ্রুত গতির কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতিটি। কাগজে এই পরীক্ষা পদ্ধতির ফলাফল প্রকাশিত হয় সরলরেখার মাধ্যমে। সোজা কথায়, নমুনা কোভিড পজিটিভ বোঝাতে দুটি লাইন এবং নেগেটিভ বোঝাতে একটি লাইন ফুটে ওঠে।
সহজে পরীক্ষার ফল বোঝা যায় বলে ফেলুদা পরীক্ষা করতে কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন হয় না এবং বাড়ি বসেই তা করা সম্ভব।
এ যাবৎ প্রচলিত কোভিড পরীক্ষার মতো ফেলুদার জন্য নাক ও গলা থেকে সোয়্যাব নমুনা জোগাড় করতে হয়। সোয়্যাব থেকে আরএনএ বের করার পরে বাকি পরীক্ষার কাজ অতি দ্রুত হয়ে যায়।