কাবুলের দৃশ্য দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না পথর মন সৈনিকরাও। এহেন আফগানিস্তানে বদলি চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের দুই মহিলা কনস্টেবল। এই মামলা খারিজ করে দিলেও মামলার আবেদনে বিস্মিত দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি রাজীব সহায় এবং বিচারপতি অমিত বনসল। যদিও এই মামলার আবেদন এবং রায় দুটোই ১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের আগে হয়েছিল। তাও সেই সময়ও তালিবানি দখলদারীর শঙ্কা ছিল। সেই সময় একের পর এক শহর দখল করছিল তালিবান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিকে মামলা খারিজ করে হাই কোর্ট বলে, 'সস্ত্র বাহিনীর জওয়ান হিসেবে আইটিবিপির জওয়ানদের যেকোনও জায়গায় নিয়োগ বা মোতায়েন করা যায়। যেখানে যেরকম প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী এই নিয়োগ হয়। নির্দিষ্ট ভাবে আফগানিস্তানে নিযোগ চাওয়ার কোনও এখতিয়ার তাঁদের নেই। তবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তাঁরা নিজে থেকে আফগানিস্তানে মোতায়েন চেয়ে আবেদন করায় আমরা বিস্মিত।'
এদিকে আবেদনকারী আইটিবিপি কনস্টেবলরা দাবি করেন যে তাঁদের ২০২০ সালের অগস্টে কাবুলের দূতাবাসে নিয়োগ করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। তবে চলতি বছরের জুনেই তাঁদের ফের একবার ভারতে বদলি করা হয়। তাঁদের দাবি ছিল যে কাবুলে দুই বছর থাকা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। এদিকে আইটিবিপির তরফে জানানো হয়, কাবুলে সেই সময় তিনজন মহিলা কনস্টেবল মোতায়েন ছিলেন ইতিমধ্যেই। এরপরই আদালত জানায় যে কনস্টেবলরা নিজেদের থেকে বেছে নিতে পারেন না যে তাঁদের কোথায় মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, ১৫ অগস্টের পর থেকে আফগানিস্তান থেকে ৯৯ জন আইটিবিপি জওয়ান এবং দুটি স্নিফার কুকুরকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।