এনসিআরটির বইতে মুঘল আমল সম্পর্কিত অধ্যায় নিয়ে সদ্য একটি বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল। বিতর্কে উঠে এসেছিল একই প্রশ্ন, দ্বাদশ শ্রেণির বই থেকে কি বাদ যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে মুঘল শাসনকালের অধ্যায়? যারপর এনসিআরটির ডিরেক্টর মুখ খোলেন, জানান, সেই সমস্ত তথ্য ‘মিথ্যা’, তিনি বলেন, বইতে এখনও রয়েছে ওই অধ্যায়। এই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরএসএস, নাথুরাম গডসে ও মহাত্মা গান্ধীকে ঘিরে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে কিছু অংশে বড়সড় রদবদল আনা হল। যা শেষ ১৫ বছরের সময়কালে বড় রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে।
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এনসিআরটির বইতে থাকা বেশ কয়েকটি বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। যে অংশগুলি সরানো হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে তথ্য উঠে এসেছে এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আগে লেখাছিল-
- গান্ধীজি বিশেষত অপছন্দ করতেন প্রতিশোধ সম্পর্কিত নীতি। যাঁরা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চান, তাঁদের অপছন্দ করতেন গান্ধীজি।
- গান্ধীজির হিন্দু -মুসলিম ঐক্যের দৃঢ় উদ্যোগ এতটাই ছিল যে, তা উস্কে দিয়েছিল হিন্দু উগ্রবাদীদের, যার জেরে তাঁরা গান্ধীজিকে হত্যার অনেকবার চেষ্টা করেছিল।
- গান্ধীজির মৃত্যু দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল। বিদ্বেষ ছড়ানো সংগঠনকে কঠোর হাতে দমন করেছিল ভারত সরকার, দমনের তালিকা থেকে বাদ যায়নি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত এই সমস্ত বিষয়েই রদবদল এসেছে বলে তুলে ধরেছে রিপোর্ট। নাথুরাম গডসেকে উল্লেখ করা হয়েছে 'পুনের ব্রাহ্মণ' হিসাবে। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে তুলে ধরা হয়েছে, গডসে ছিলেন একটি চরমপন্থী হিন্দু সংবাদপত্রের এডিটর।
( 'মিথ্যা কথা', এনসিইআরটির বই থেকে মুঘল অধ্যায় সরানো ইস্যুতে মুখ খুললেন ডিরেক্টর)
গত বছরের বইয়ের সঙ্গে নতুন বইয়ের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, পুরনো বইয়ের নিরিখে নতুন বইতে মহাত্মা গান্ধীকে ঘিরে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন বইতে গান্ধীজিকে ‘মুসলিম তোষণকারী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও এনসিআরটির নতুন কাউন্সিল সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই থেকে দলিত লেখর ওমপ্রকাশ বাল্মীকির রেফারেন্সও তুলে দিয়েছে। ওই অংশটি সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির সোশ্যাল সায়েন্স বইতে স্থান পেয়েছিল আগে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup