পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তাঁর জামাইবাবু। এমনই অভিযোগ ওঠে ঢাকার মির্জাপুর উপজেলায়। নবালিকার বাবা থানায় অভিযোগ জানান। বর্তমানে মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তের বয়স ২৪। তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি, অর্থাৎ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সবুজ মিয়া হচ্ছেন ঘাটাইল উপজেলার গর্জনা জেলার শামছুল হকের ছেলে। তাঁর সঙ্গে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সলিমনগরের এক ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে হয়। আর এরপর থেকে অভিযুক্তের কুনজর পড়ে তাঁর কিশোরী শালিকার উপর। নাবালিকা জানিয়েছেন বাড়িতে কেউ না থাকলেই জামাইবাবু তাঁকে কাছে টেনে "খারাপ" ভাবে স্পর্শ করতেন। ভয়ও দেখান। এবং ধর্ষণ করেন। লাগাতার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি।
প্রথমে বাড়ির লোক কিছুই টের পায়নি। এরপর তাঁর শরীরে মাতৃত্বের লক্ষণ ফুটে উঠলে এবং মেয়েটির শরীর খারাপ হলে তখন সে জানায় জামাইবাবুর এই কুকীর্তির কথা। এরপর সবুজ মিয়াকে শ্বশুরবাড়ি ডাকা হয়। আর তার মাঝেই মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়ে রাখেন। অভিযুক্ত ফাঁদে পা দিতেই পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী সময় মির্জাপুর থানার এসআই মাহফুজ জানান অভিযুক্ত সবুজ মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছেন। বুধবার, ১৭ অগস্ট মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।