বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভারত বিমান দেখভাল-মেরামতের হাবে পরিণত হলে কমতে পারে উড়ানের ভাড়া : সীতারামন

ভারত বিমান দেখভাল-মেরামতের হাবে পরিণত হলে কমতে পারে উড়ানের ভাড়া : সীতারামন

দিল্লি বিমানবন্দের দাঁড়িয়ে রয়েছে উড়ান (ছবি সৌজন্য ব্লুমবার্গ)

আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার জন্য পিপিই মডেলে ভারতের একাধিক বিমানবন্দর পরিচালনা করা হবে।

বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পুনর্বিন্যাসর জন্য বিভিন্ন উড়ান সংস্থাগুলিকে বিদেশে যেতে হয়। ফলে বাড়তি খরচ পড়ে। সেই ভার লাঘবের জন্য এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' অভিযানের আওতায় সেই ক্ষেত্রেও ভারতকে স্বনির্ভর গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্র। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজের সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী তিন বছরের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রপাতি সারাইয়ের খাতে খরচ ৮০০ কোটি টাকা বেড়ে ২,০০০ কোটি টাকা হবে। আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা ভারতে বিমানে ইঞ্জিন সারাইয়ের কারখানা গড়ে তুলবে। এছাড়াও ভারতকে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পুনর্বিন্যাসের (এমআরও) হাব গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে যাত্রীদের ভারও কিছুটা লাঘব হতে পারে 

তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র অসামরিক বিমানে নয়, এমআরও (পরিকাঠামোর) সুযোগ পেতে পারে প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত বিমানও, যদি আমরা ভারতকে বড়সড় হাব বানাতে পারি। সব উড়ান সংস্থার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমে যাবে এবং যাত্রীদের উপর তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তারপর যাত্রীদের সম্ভবত কম ভাড়া দিতে হতে পারে।'

পাশাপাশি নয়া প্যাকেজে দক্ষভাবে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের আকাশসীমার মাত্র ৬০ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। আরও বেশি আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য বাধানিষেধ প্রত্যাহার করা হবে। ফলে তেল কম পুড়বে। যাত্রা সময় হ্রাস পাবে। প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকা বাঁচার পাশাপাশি পরিবেশের পক্ষেও তা ভালো হবে। অর্থমন্ত্রীর দাবি, 'নয়া সিদ্ধান্তের ফলে বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে প্রতি বছরে ১,০০০ কোটি টাকা লাভ হবে।'

এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার জন্য পিপিই মডেলে ভারতের একাধিক বিমানবন্দর পরিচালনা করা হবে বলে জানান সীতারামন। তিনি বলেন, 'প্রথম দফায় ছ'টি বিমানবন্দরের মধ্যে ইতিমধ্যে পিপিই ভিত্তিতে তিনটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। প্রথম দফায় ছ'টি বিমানবন্দরের বার্ষিক আয় হবে ১,০০০ কোটি টাকা। আরও ২,৩০০ কোটি টাকার ডাউন পেমেন্ট পাবে এএআই। দ্বিতীয় দফার জন্য ছ'টি বিমানবন্দর চিহ্নিত করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় ছ'টি বিমানবন্দরের নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথম দু'দফায় ১২ টি বিমানবন্দরে বাড়তি ১৩,০০০ কোটি বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।'

বন্ধ করুন