উত্তর ভারতে ফিটজি-র বন্ধ সেন্টারের সামনে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। এদিকে এই গোটা বিতর্কে মুখ খুলেছে ফিটজি কর্তৃপক্ষ। এদিকে ইতিমধ্যেই ফিটজি প্রতিষ্ঠাতা ডিকে গোয়েল, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার রাজীব বাব্বর, চিফ অপারেটিং অফিসার মণীশ আনন্দ এবং নয়ডা শাখার প্রধান রমেশ বতলেশের নামে এফআইআর হয়েছে পুলিশে। এক অভিযোগকারী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'আমার মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। মার্চ সেশনের জন্যে আমি একবারে ৩ লাখ টাকা ফি ভরেছিলাম আমার মেয়ের জন্যে। তবে এখন দেখছি যে কোচিং সেন্টারই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।' (আরও পড়ুন: পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন 'তিন তালাক' বাতিল করা প্রাক্তন CJI জাস্টিস জগদীশ সিং কেহার)
আরও পড়ুন: এই তো ইউনুসের সরকার চালানোর নমুনা, প্রতি মাসে গড়ে ৩১৩ জন খুন বাংলাদেশে
আরও পড়ুন: গত একমাসে গ্রেফতার ৪০ 'শরিফুল', বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রমরমা মহারাষ্ট্রে
এদিকে ফিটজি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা শীঘ্রই এই সব বন্ধ হয়ে যাওয়া কোচিং সেন্টারে ক্লাস চালু করবে। এদিকে ফিটজি আরও দাবি করেছে, এই সব কোচিং সেন্টার বন্ধ করা তাদের সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে এই সব শাখার 'ম্যানেজিং পার্টনাররা' রাতারাতি সঙ্গ ছাড়ায় এই কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ফিটজির দাবি, তারা নিজেরাই ম্যানেজিং পার্টনারদের প্রতারণার শিকার। এর জেরেই তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। এদিকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধেও শিক্ষক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিটজি। (আরও পড়ুন: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা… প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে শক্তিপ্রদর্শন ভারতের)
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বড় ঘোষণা সরকারের, ২০% ভাতা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি
উল্লেখ্য, আচমকা ফিটজি-র বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারেও ফিটজির বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই আবহে শত শত শিক্ষার্থী অন্ধকারে রয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির লক্ষ্মী নগর, নয়ডা সেক্টর ৬২-এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, গাজিয়াবাদ, লখনউ ও বারাণসীর ফিটজির শাখাগুলি বন্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও বিহারের পটনাতেও বন্ধ হয়েছে ফিটজির সেন্টারগুলি। (আরও পড়ুন: বিতর্ক অতীত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলোয় দুর্গা পদতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার)
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (আইআইটি-জেইই)-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহু বছর ধরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ফিটজি। তবে সাম্প্রতিককালে নাকি বেশ কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছিল না ফিটজি। এই আবহে শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দেন। এর জেরে সেন্টারগুলিকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে ফিটজি। গাজিয়াবাদের সেন্টার বন্ধের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, তারা নয়ডা থেকে শিক্ষক আনিয়ে সেন্টারটি চালু রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই চেষ্টা সত্ত্বেও দু'দিনেই সেন্টারটি বন্ধ করতে হয় ফিটজি-কে। এদিকে এভাবে সেন্টার বন্ধ হওয়ার জেরে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বেশ ক্ষুব্ধ। তাদের অনেকেই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছে। এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছে, কোনও কিছু না জানিয়েই কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। এদিকে অভিযোগ করা হয়েছে, গাজিয়াবেদর সেন্টারের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়নি।