বুধবারই স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার হ্রাস করেছে কেন্দ্র। আর তারপরেই মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা।
আমজনতার একাংশ থেকে বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুদ হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই 'খামখেয়ালী আচরণের' প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার সমালোচনা করেছেন তাঁরা। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে কেন্দ্রের 'এপ্রিল ফুল'-এর মজা বলেও বিদ্রুপ করেছেন।
সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত যে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, তা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। টুইটে নির্মলা সীতারামন জানান, গত ত্রৈমাসিকের সমান হারেই স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার রাখা হচ্ছে। মার্চ ২০২১-এর হারেই মিলবে সুদ।
পাশাপাশি তিনি জানান কিছু ভুলবশত কারণে আগের নির্দেশিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল। সেটি প্রত্যাহার করা হল।
তবে এটিকে এত সরলভাবে নিতে নারাজ বিরোধীরা। 'ওভারসাইট' হিসাবে মোটেও এই ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়নি- দাবি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। উল্টে তাঁর ধারণা, সামনেই একাধিক হেভিওয়েট বিধানসভা নির্বাচন। মধ্যবিত্তের ক্ষোভ ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
অনেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বদলের বিদ্রুপ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কংগ্রেস নেতা সলমন আনিজ-এর টুইটে বেশ মজেছেন নেটিজেনরা। একটি টুইটে প্রথমে তিনি ঘোষণা করেন, 'আমি বিজেপি যোগ দিচ্ছি।' পরের টুইটে লেখেন, 'Oversight' থেকে এ কথা বলে ফেলেছেন তিনি। তাঁর এই টুইটে হেসে কুটোপাটি নেটিজেনরা।
অন্যদিকে এটি নির্মলা সীতারামনের এপ্রিল ফুলের জোক বলে ব্যাঙ্গ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়া অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 'সরকার চলছে না সার্কাস চলছে?' প্রশ্ন তোলেন তিনি। নির্মলার ইস্তফাও দাবি করেন তিনি।
অনেকেরই আশঙ্কা, ভোট মিটলেই কমিয়ে দেওয়া হবে সুদের হার। বাস্তবে কি হয়, তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।