দুর্ভোগ শেষ হল কুয়েতে আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীদের। ২৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল ৬০ জন ভারতীয় যাত্রীকে। অবশেষে ২৩ ঘণ্টা পর ভারতীয় ও অন্যান্য যাত্রীদের নিয়ে ম্যানচেষ্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল গাল্ফ এয়ারের বিমান। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কুয়েতে জরুরি অবতরণ করেছিল বিমানটি। তারপরে ভারতীয় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অবশেষে সোমবার ভোরের দিকে ম্যানচেষ্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি। কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি ভোর ৪.৩৪ টে নাগাদ রওনা দেয়। বিমান ছেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘নেই খাবার,সাহায্য’,১৩ ঘণ্টা কুয়েত এয়ারপোর্টে আটকে ভারতীয় যাত্রীরা, কী ঘটেছে?সাড়া দিল দূতাবাস
গাল্ফ এয়ারলাইন্সের বিমানটি ভারতীয় সহ অন্যান্য যাত্রীদের নিয়ে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ম্যাঞ্চেস্টারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তাতে সিংহভাগই ছিলেন ভারতীয়। এর পাশাপাশি আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের যাত্রীরাও ছিলেন। তবে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি কুয়েত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। অনেকে বক্তব্য, ইঞ্জিনে আগুন লাগার ফলে এই বিপত্তি ঘটে। বিমানটি জরুরি অবতরণের ২০ মিনিট আগে তা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপরেই দুর্ভোগ শুরু হয় ভারতীয় যাত্রীদের। অভিযোগ ওঠে, মার্কিন এবং ব্রিটেনের যাত্রীদের সুবিধা দেওয়া হলেও ভারতীয় যাত্রীদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। আটকে পড়া যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছে ট্রানজিট ভিসা না থাকায় তারা বিমানবন্দর ছেড়ে যেতে পারেননি। অন্যদিকে, ইউকে এবং ইউএসের যাত্রীদের বিমান বন্দর ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাদের ক্ষেত্রে ট্রানজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম আলাদা। অভিযোগ, ভারতীয় যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি। এই ঘটনায় যাত্রীরা ভারতীয় দূতাবাসকে হস্তক্ষেপ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ জানায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাসের একটি দল বিমানবন্দরে পৌঁছয়। যদিও কুয়েতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলার কারণে বিমানবন্দরের আশেপাশে কোনও হোটেল ভাড়া পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও, দূতাবাসের তরফে ভারতীয় যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে যাত্রীদের অভিযোগ প্রথমে তাদের একাংশকে লাউঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিন দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, বিমানটি ম্যানচেষ্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিমানটি উড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেখানে দূতাবাসে দল ছিল।