অনীশ ইয়ান্ডে
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জেলবন্দিদের কষ্টের কথা সম্প্রতি তুলে ধরেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তবে এবারের বাজেটে গরিব জেলবন্দিদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করল সরকার। বাজেট ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছেন, যে সমস্ত গরিব মানুষ যাঁরা জেলবন্দি রয়েছেন, যাঁরা জরিমানা বা জামিনের অর্থ জোগাড় করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করা হবে। নিঃসন্দেহে মানবিক উদ্যোগ। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে এই ঘোষণার পেছনে একটি বিশেষ প্রেক্ষাপট রয়েছে।
গত বছর ২৬ নভেম্বর বক্তব্য রাখার সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জেলকে ভিড়মুক্ত করা ও গরিব জেলবন্দিদের সহায়তা করার ব্যাপারে মতামত দিয়েছিলেন। আরও জেল তৈরির করার ব্যাপারেও মতামত দিয়েছিলেন তিনি। গরিব মানুষ যাঁরা জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাদের কথা তুলে ধরেছিলেন খোদ রাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, এই মানুষগুলোর জন্য আপনাদের কিছু করার দরকার। যারা জেলে রয়েছেন তারা কারা? তারা মৌলিক অধিকার কাকে বলে জানেন না, তারা সংবিধানের প্রস্তাবনাও জানেন না, মৌলিক কর্তব্য কাকে বলে সেটাও জানেন না।
সামান্য অপরাধে কাউকে যদি জেলে পাঠানো হয় তবে সেটা সরকারের কাছেও বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাপারটি আমি আপনাদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। ( আইনমন্ত্রী ও বিচারপতি)। যে বিচারাধীন গরিব বন্দিরা নানা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তাদের ব্য়াপারে চিন্তাভাবনা করাটা আমাদের কাজ। আমাদের সকলের এনিয়ে চিন্তাভাবনা করা ও একটা পথ বের করা দরকার। বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের পরেই সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল ওই ধরনের বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে ১৫দিনের মধ্যে একটি জাতীয় স্কিম তৈরি করা হোক।
এদিকে মঙ্গলবার NALSA'র তরফে জানানো হয়েছে, জামিন হওয়ার পরেও প্রায় ৫০০০ বন্দি এখনও জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ১৪১৭জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
যে সমস্ত ক্ষেত্রে সেই বিচারাধীন বন্দিরা তাদের বন্ড জমা দিতে পারছেন না সেক্ষেত্রে NALSA প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সেক্ষেত্র এক মাস বা দুমাসের মধ্যে তারা জেল থেকে মুক্ত হওয়ার আশা দেখতে পাবেন। এমনকী তাদের যদি আইনি পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা হয় সেক্ষেত্রেও তারা সহযোগিতা করতে পারবেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এবার সেই গরিব জেলবন্দিদের জন্য় আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।