রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল অসমে। সেই এফআইআর-এ পদযাত্রার আয়োজক হিসেবে কেবি বাইজুর নামও আছে। অভিযোগ, অসমের জোরহাট থেকে নির্দিষ্ট রুটে না গিয়ে পথ পরিবর্তন করেছিল 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। এই কারণেই এফআইআর রুজু হয়েছে রাহুলের পদযাত্রার বিরুদ্ধে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শহরের মধ্যে নির্দিষ্ট পথ বদল করা হয় যাত্রাকালে। এর জেরে গোটা এলাকায় অরাজকতার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাহুলের যাত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। (আরও পড়ুন: দিল্লির সরকারি বাংলো থেকে মহুয়াকে উচ্ছেদ করতে দল পাঠাল কেন্দ্র, এবার কী হবে!)
আরও পড়ুন: 'উভয় দেশের জন্য...', মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যা বলল ভারত
অভিযোগে বলা হয়েছে, হঠাৎ করে ভিন্ন রুটে পদযাত্রা এগিয়ে যাওয়ায় সেখানকার মানুষরা ভিড়ের মধ্যে পড়েন। অনেকেই হুড়োহুড়িতে মাটিকে পড়ে যান। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। এই আবহে জোরহাট সদর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যাত্রা এবং যাত্রার আয়োজকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করে এগিয়েছে এই পদযাত্রা। সড়ক সুরক্ষার তোয়াক্কা করা হয়নি যাত্রার সময়। এদিকে অসমের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া অভিযোগ করেন, এই এফআইআর-এর মাধ্যমে কৌশলে কংগ্রেসের পদযাত্রা বন্ধের চেষ্টা করছে সরকার। প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই যাত্রার অসমে থাকার কথা। সেই রাজ্যের ১৭ জেলা দিয়ে ৮৩৩ কিমি পথ পাড়ি দেওয়ার কথা এই যাত্রার। আগামী ২০ মার্চ এই যাত্রার মুম্বই পৌঁছানের কথা।
আরও পড়ুন: 'লাল রেখা...', জবাবি হামলার পর 'বন্ধু' পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা ইরানের
কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া বলেন. 'জোরহাট শহরের পিডাব্লুডি পয়েন্টে কোনও পুলিশ মোতায়েন করা ছিল না। সেখানে পুলিশের ট্রাফিক ঘুরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। আমাদের পদযাত্রার জন্য যে রুট নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, তা খুব সরু ছিল। আমাদের পদযাত্রায় বিশাল লোক সমাগম হয়েছিল। হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই পদযাত্রার সাফল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর তাই এই পদযাত্রাকে লাইনচ্যুত করতে চান তিনি।' এদিকে ইতিমধ্যেই এই পদযাত্রা অসমের মাজুলিতে গিয়ে পৌঁছেছে। জোরহাটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, 'পদযাত্রার সময়ে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। এই যাত্রায় যাতে সাধারণ মানুষ অংশ নিতে না পারেন, সেটারই চেষ্টা চালাচ্ছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। এই যাত্রাকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা অসমে থাকব। পারলে আমাদের গ্রেফতার করুক। আমরা চ্যালেঞ্চ করছি সরকারকে।' এরই মাঝে হিমন্তকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'অসমের মুখ্যমন্ত্রী দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি শুধু জন সাধারণের মানুষ লুঠ করতে চান। এবং মানুষের মনে একে অপরের জন্য হিংসা তৈরি করতে চান।'