তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ভোপালে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহুয়ার মন্তব্যে আপত্তি তোলার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল ভোপালে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, ‘মহুয়া মৈত্রার বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং হিন্দু দেব-দেবীর অবমাননা কোনও মূল্যে সহ্য করা হবে না।’ এরপরই ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত) ধারায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার খবর জানান ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার শৈলেন্দ্র চৌহান।
প্রসঙ্গত, ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের দেবদেবীকে কীভাবে দেখবেন, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি ভুটানে যান, বা সিকিমে যান, তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। এবার আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।’ মহুয়ার এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। দল জানিয়ে দেয় যে তারা মহুয়ার পাশে তারা নেই।
এদিকে কালীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আজ পথে নামে বিজেপির মহিলা মোর্চা। বৌবাজার থানায় আজ অভিযোগ দায়ের করা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। এই আবহে এবার বিজেপিকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের সাংসদ এদিন টুইট করে বিজেপির উদ্দেশে লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না।’ টুইটে মহুয়া আরও লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’