জয়পুরের একটি রিসর্টের পক্ষ থেকে হোটেল বুকিং জায়ান্ট ওয়ো এবং তার প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যে ওয়ো( OYO) মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল যার ফলে ২.৬৬ কোটি টাকার জিএসটি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরের অশোকনগর থানায় সংস্কার রিসর্টসের মদন জৈনের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
এফআইআরে জৈন দাবি করেছেন যে ওরাভেল স্টেইস প্রাইভেট লিমিটেড নামে পরিচিত ওয়ো, ভুয়ো বুকিং দেখিয়ে রিসর্টের টার্নওভারকে অনেকটা বাড়িয়ে দেখিয়েছিল - যার মধ্যে কয়েকটি এমনকী দুই পক্ষের মধ্যে কোনও চুক্তিও না হওয়ার সময়কালের জন্যও ছিল।
১৮ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ওয়োর সঙ্গে ১২ মাসের চুক্তি ছিল সংস্কারের৷ এই সময়ের মধ্যে রিসর্টটি জানিয়েছে, তারা ওয়োর মাধ্যমে মাত্র ১০.৯৫ লক্ষ টাকার বুকিং পেয়েছে এবং সেই অনুযায়ী জিএসটি প্রদান করেছে৷
তবে ওয়ো ২২.২২ কোটি টাকার ব্যবসার কথা জানিয়েছে, যার ফলে জিএসটি বিভাগ ২.৬৬ কোটি টাকা বকেয়া কর ও জরিমানা দাবি করে নোটিস জারি করেছে।
২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সংস্কারে বুকিংও দেখিয়েছে ওয়ো।
এফআইআরে কাদের নাম রয়েছে?
এফআইআরে ওরাভেল স্টেইস প্রাইভেট লিমিটেড বা ওয়ো, পাশাপাশি ওয়োর প্রতিষ্ঠাতা ও গ্রুপ সিইও রিতেশ আগরওয়াল এবং আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) অধীনে প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে যে সংস্কার রিসর্টগুলি ওয়ো দ্বারা স্ফীত বিল তৈরির কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
ফেডারেশন অফ রাজস্থানের সভাপতি হুসেন খান অভিযোগ করেছেন, ওয়ো-র দেখানো অনেকটাই বাড়িয়ে করা বিলের ভিত্তিতে প্রায় ২০টি হোটেলকে জিএসটি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছিলেন যে হোটেলগুলির সাথে ওয়োর ‘খারাপ রেকর্ড’ রয়েছে এবং চার বছর আগেও ‘আমরা এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলাম, ১২৫টি হোটেল হোটেলের বাইরে ব্যানার প্রদর্শন করে জানিয়েছিল যে আমরা ওয়ো বুকিং গ্রহণ করছি না’।
ওয়ো এখনও এই অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছে এই ধরনের ওয়ো হোটেল। কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের হোটেল বেশ জনপ্রিয়। তবে এবার ওয়োর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠেছে।