প্রজাতন্ত্র দিবসে চাষীদের ট্র্যাক্টর মিছিল সংক্রান্ত খবর টুইটারে শেয়ার করে বিপাকে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ও রাজদীপ সারদেশাই সহ একঝাঁক সাংবাদিক। তাদের বিরুদ্ধে নয়ডা ও ভোপালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ যে তারা টুইটারে অসত্য তথ্য শেয়ার করেছিলেন যে পুলিশের গুলিতে একজন চাষী মারা গিয়েছেন। দায়ের হওয়া অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নয়ডায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ আরও বিভিন্ন শক্ত ধারায় চার্জ আনা হয়েছে থারুর, রাজদীপ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়েছে যে অভিযুক্তদের ডিজিটাল ব্রডকাস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্যই ট্র্যাক্টর মিছিলে হিংসা হয়। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সাংবাদিক মৃনাল পাণ্ডে, রাজদীপ সারদেশাই, বিনোদ জোস, জাফর আগা, পরেশ নাথ ও অনন্ত নাথের বিরুদ্ধে। আইপিসির ১২৪A, ২৯৫A, ৫০৪, ৫০৬, ৩৪, ১২০ বি ধারায় মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ছাড়াও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা, হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা. ভয় দেখানো, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে। আইটি আইনের বিভিন্ন ধারাতেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভোপালে এই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ ও ৫০৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী সঞ্জয় রঘুবংশী বলেছেন ইচ্ছে করে ভ্রান্ত, অপমানজক, উস্কানিমূলক টুইট নিজেদের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছেন এই সব ব্যক্তি। সঞ্জের দাবি যে রাজদীপ ইত্যাদি ফেক নিউজ ছড়িয়েছিলেন যে দিল্লি পুলিশ গুলি চালিয়ে একজন কৃষককে মেরেছে যদিও তদন্ত প্রকাশ পায় যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে টুইটারে এই মিথ্যে খবর শেয়ার করা হয় বলে এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে। এই উস্কানির ফলস্বরূপ ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে যখন ভারতীয় গণতন্ত্রেক স্তম্ভ লাল কেল্লায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এই ফেক নিউজ ছড়ানো হয়েছিল। ভোপালের অতিরিক্ত ডিজিপি উপেন্দ্র জৈন জানান যে পুলিশ এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখছে বিষয়টি।