একইসঙ্গে ২৫ টি স্কুলে চাকরি করতেন। ১৩ মাস পরে শেষপর্যন্ত বিষয়টি যতক্ষণে জানাজানি হল, ততদিনে বেতন হিসেবে এক কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অতুল শর্মা বলেন, ‘শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেসিক এডুকেশন অফিসার। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে তিনি চাকরি পেয়েছেন। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আরও পদক্ষেপ করা হবে।’
কাসগঞ্জের বেসিক শিক্ষা অধিকারী (বিএসএ) অঞ্জলি আগরওয়াল বলেন, ‘ওই শিক্ষিকার নথিতে একাধিক পোস্টিংয়ের বিষয়টি খোঁজ পাওয়ার পর অনামিকা শুক্লাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারপর ওই শিক্ষিকা আমাদের অফিসে এসে ইস্তফা দিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদীর জানান, এ বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। তিনি সংবাদমাধ্যম থেকেই প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি, একজন শিক্ষিকা ২৫ টি জায়গায় কর্মরত। অনামিক শুক্লার নথি ব্যবহার করে তিনি বাগপত, সাহারানপুর, আলিগড়, আমেঠি এবং আম্বেদকর নগরে তাঁর পোস্টিং পেয়েছিলেন। তদন্ত চলছে।’