ঘূর্ণিঝড় তউটের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল পশ্চিম উপকূল৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মুম্বই থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি বার্জ ২৬১ জনকে নিয়ে তলিয়ে যায় আরব সাগরে৷ উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছিল নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজকে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এখনও সেই উদ্ধারকাজ চলছে৷ ঘটনার পাঁচদিন পর এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ২৬ জনের৷ ইতিমধ্যেই ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷
এদিকে তলিয়ে যাওয়া বার্জের ইঞ্জিনিয়রদের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন মুম্বইয়ের ইয়েলো গেট থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। ৩০৪ (II), ৩৩৮, ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বার্জ মাস্টার এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। এদিকে সেই বার্জটি ভাড়া নেওয়া সংস্থা অ্যাফকন জানায়, বার্জ মাস্টার ঝড় সত্ত্বেও সমুদ্রে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও উপকূলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বার্জটিকে।
ক্যাপ্টেনের অবহেলার জন্য মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে পি-৩০৫-এর ক্যাপ্টেন রাকেশ বল্লভ-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে শুক্রবার এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ৷ অভিযোগ, প্রধান ইঞ্জিনিয়ার রেহমান শেখ ক্যাপ্টেনকে ঝড় আসার রাস্তা থেকে জাহাজ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তিনি বলেছিলেন, বাতাসের গতিবেগ ৪০ নটস, আর এটা ১১-১২-র মধ্যে থাকবে৷ এর বেশি হবে না৷ এমনকি জাহাজে একটি ফুটো হয়েছিল, সে বিষয়েও সতর্ক করেছিলেন শেখ৷ কিন্তু ক্যাপ্টেন রাকেশ-সহ অন্যান্যরা কথা শোনেননি৷
এদিকে খারাপ আবহাওয়া, ঝোড়া হাওয়ার মাঝেও আরব সাগরে চলছে উদ্ধারকাজ৷ রাতেও সার্চলাইট ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে৷ আশা, কোথাও যদি একটু কিছু নড়াচড়া দেখা যায়৷ কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে, ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে সেই আশা৷ আজ সকালে ফের নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে৷ হেলিকপ্টারে করে উপর থেকে দেখা হচ্ছে৷
এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মধ্যে ১৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্বব হয়েছে৷ ঘূর্ণিঝড় তউটে গুজরাতে উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে মুম্বইয়ের উপকূলবর্তী এলাকায় তাণ্ডব চালায়৷ আর তাতেই একটি বার্জ ডুবে যায়৷ নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে যে এবার উদ্ধারকার্য যথেষ্ট কঠিন ছিল৷ এত বাধার মুখে গত চার দশকে পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন নৌসেনার উপ-প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল মুরলীধর সদাশিব পাওয়ার৷