বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন। শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি যারা নিখোঁজ রয়েছে তারা কেউ কারখানার শ্রমিক নন। তারা কারখানা লুঠপাট করার জন্য এসেছিলেন বলে খবর। অন্য কোনও কাজেও তারা আসতে পারে বলে খবর।
সোমবার দুপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া ওই কারখানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। এদিকে বাংলাদেশের দমকল বিভাগ নিখোঁজ হওয়াদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে বেলা পৌনে ৩টে পর্যন্ত ১৭৩জন নিখোঁজের তালিকা পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ওই কারখানার ৬তলার একটি ভবনে দুপুর ২টোর সময়ও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে আগুন লাগার ঘটনার পরে অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের আর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না। মূলত যেটা বোঝা যাচ্ছে কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পরেই লুঠপাট শুরু হয়। আর সেই লুঠপাটের সময়ই নিখোঁজ হয়ে যান অনেকেই। তবে এবার লুঠপাট রুখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ-দমকল।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) আহসান মাহমুদ বলেছেন, আগুন লাগানো ও লুঠপাটের ঘটনায় সরকার ব্যবস্থা নেবে। নতুন করে কেউ যেন লুঠপাটে না জড়ায় সে বিষয়ে তারা সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।